ডেস্ক: হামলায় আহত লেখক-শিক্ষাবিদ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের মাথা ও হাতে ৪টি আঘাত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। তবে তিনি এখন শঙ্কমুক্ত।
শনিবার রাত ৯টার দিকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মোরশেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, 'জাফর ইকবাল এখন শঙ্কামুক্ত। ওনার জ্ঞান রয়েছে। শুধু রিপিয়ারের জন্য ওনাকে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়েছে।'
জাফর ইকবালের মাথা ও হাতে চারটি আঘাত করা হয়েছে এবং তার শরীরে ২৬টি সেলাই পড়েছে বলে এসময় জানান তিনি।
এরআগে শনিবার বিকেলে শাবি ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন অধ্যপক জাফর ইকবাল। আহতাবস্থায় জাফর ইকবালকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুল হক বলেন, 'তার মাথার পেছনে ধারাল কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আঘাত কতটা গুরুতর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলা যাবে। তবে তার জ্ঞান রয়েছে।'
অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এ আটকে রাখা হয়েছে। এখনও তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠান চলাকালে এ হামলা চালানো হয়। অনুষ্ঠানে জাফর ইকবাল বক্তব্য দিচ্ছেলেন। এ সময় পেছন থেকে তার মাথায় ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটকে পিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটক করে রেখেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে তিনি পড়ে আছেন। কোনো কথারই জবাব দিচ্ছেন না।
অধ্যাপক জাফর ইকবালের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন বলেন, মঞ্চের পেছন থেকে এসে এক ছেলে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশসহ অন্যরা তাকে আটক করে। হামলাকারীর বয়স ২৪ থেকে ২৭ বছর হবে।
কী কারণে জাফর ইকবালের উপর এই হামলা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এদিকে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।