আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

ইতিহাস প্রতিশোধ নেয়: প্রধানমন্ত্রী

বুধবার, ৭ মার্চ ২০১৮, বিকাল ০৫:৩৯

শেখ হাসিনা বলেন, গ্রেফতার হওয়ার আগে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ইপিআর ওয়ারলেসের মাধ্যমে শেষ শত্রুকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন জাতির পিতা। দেশকে স্বাধীন করতে জাতির পিতার নির্দেশে জনগণ ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলে যার যা যা ছিল তা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তবে ওই সময় একটি দল পাকিস্তানি বাহিনীকে গ্রামের পর গ্রামে নিয়ে গিয়েছিল। আমার মা-বোনদের পাক হানাদারদের হাতে তুলে দিয়েছিল। তারা গণহত্যা চালিয়েছিল। গ্রামে গ্রামে আগুন দিয়েছিল। জাতির পিতা এদের বিচার শুরু করে করেছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে সপরিবারের হত্যার পর তাদেরকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে মন্ত্রী-উপদেষ্টা করা হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কেউ এটা বাজালে জেল-জুলুম করা হতো। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যায় না। ইতিহাস প্রতিশোধ নেয়।

বুধবার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে জনসভায় ভাষণ দেয়া শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এরআগে বিকেল ৩টার দিকে তিনি জনসভাস্থলে পৌঁছেন। বেলা আড়াইটার দিকে পবিত্র কোরআন, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল পাঠের মধ্যদিয়ে জনসভার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রীর আগে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ জাহাঙ্গীর কবির নানক, দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন প্রমুখ।

জনসভা শুরু হওয়ার আগেই সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। দুপুরের আগেই জনসভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মৎস ভবন, শাহবাগ, নীলক্ষেত, দোয়েল চত্বরসহ বিভিন্ন পথে জনস্রোত নামে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানমুখে। প্রায় প্রতিটি নেতাকর্মীর হাতে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ের ছবি ও স্লোগান সম্বলিত নানান রঙয়ের ব্যানার, ফেস্টুন এবং প্লাকার্ড।

এছাড়া বাস, ছোট পিকআপ, মোটরসাইকেল করে সমাবেশস্থলে আসছেন নেতাকর্মীরা। অনেককে পায়ে হেটেও জনসভায় যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত জনসভাকে ব্যাপক গুরুত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ।

মন্তব্য করুন


 

Link copied