গ্রামবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আব্দুল মান্নান ঐ এলাকার গরু ব্যবসায়ীদের প্রধান ছিলন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তার সহযোগি গরু ব্যবসায়ী ১০-১৫ জনের একটি দল। পরে রাত ১টার দিকে তার মরদেহ বাড়িতে রেখে ৩ গরু ব্যবসায়ী দ্রæত পালিয়ে যায়। এসময় এক গরু ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামের হাতে লোহার সাবল দেখতে পান নিহত মান্নানের স্ত্রী রেজিয়া বেগম।
নিহত আব্দুল মান্নান দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। তার সংসারে এক স্ত্রী চার ছেলে সন্তান রয়েছে। তাদের ধারণা, তাকে সীমান্ত নিয়ে গিয়ে গরু ব্যবসায়ীরা হত্যা করেছে। নিহতের বড় ছেলে ইহসানুল হক অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবার সহযোগি গরু ব্যবসায়ীরা রাত ১০টার দিকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত ১টার দিকে আমার বাবার মাথায় লোহার সাবলের আঘাতে হত্যা করে লাশ বাড়িতে রেখে তাৎক্ষণিকভাবে পালিয়ে যায় ওই তিন গরু ব্যবসায়ী। তারা হলেন, ধর্মপুর গ্রামের জুব্বারের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৩৫), মৃত ছাবেদ আলীর ছেলে মুকুল মিয়া (৪০) ও দুলাল মিয়া।
৩৫-ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি দু’দিন থেকে দাঁতভাঙ্গা এলাকায় আছি, ঘটনা জনার পর সরেজমিনে আসি। ঘটনাটি বাংলাদেশের অভ্যান্তরে ৪০০ মিটার দূরে তার নিজ বাড়িতে লাশ পাওয়া গেছে। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ হত্যা কান্ড হয়ে পারে। তবে এটা সীমান্ত হত্যা কান্ড নয়।
এঘটনায় রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া চলেছে।