আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশ সোমবার

রবিবার, ১৮ মার্চ ২০১৮, দুপুর ০১:০১

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও খন্দকার মাহবুব হোসেন।

রোববার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি শুরু হয়। মাঝে আধাঘণ্টার বিরতি দিয়ে শুনানি শেষ হয় বেলা ১২টায়।

২০০৮ সালে দুদকের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। ওইদিনই তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া রায়ে আসামিদের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানাও করা হয়।

পরে নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আবেদন করলে হাইকোর্ট গত ২২ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন এবং জরিমানা স্থগিত করেন। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হলে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের মামলার যাবতীয় নথি তলব করেন। আদেশে ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে নথি পাঠাতে বলা হয়। সে অনুযায়ী গত ১১ মার্চ দুপুরে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালত থেকে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়।

এরপর গত ১২ মার্চ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষ ওই জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যায়। বিচারক কোনো আদেশ না দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। ১৪ মার্চ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ রোববার পর্যন্ত হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেন। একই সঙ্গে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি লিভ টু আপিল করার নির্দেশ দেন।

সে ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৃথকভাবে লিভ টু আপিল দাখিল করা হয়। রোববার সেই লিভি টু আপিলের শুনানি নিয়ে সোমবার আদেশের দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

মন্তব্য করুন


 

Link copied