আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে অষ্টমীর স্নান করতে এসে মারা গেলেন পুরোহিত       বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডোমার ও ডিমলায় মনোনয়ন জমা দিলেন ৩৫ জন       নীলফামারীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষন -গ্রেপ্তার ৬      

 width=
 

গর্ভধারণের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ

বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ ২০১৮, দুপুর ০১:৪০

ডেস্ক: প্রত্যেক নারীর কাছেই গর্ভধারণ অতি কাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়। একজন নারী গর্ভধারণ করেছেন কি না তা কিছু লক্ষণ দেখেই বোঝা যায়। অবশ্য প্রাথমিক পর্যায়ে গর্ভধারণ করলেও কারও কারও ক্ষেত্রে লক্ষণ নাও প্রকাশ হতে পারে। সাধারণত পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার ১ বা ২ সপ্তাহ পর কিছু লক্ষণ দৃশ্যমান হয়ে উঠে এবং তা প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জনের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের ৬ সপ্তাহের মধ্যেই দেখা যায়। যদি আপনার পিরিয়ডের হিসাব না থাকে এবং এটি অনিয়মিত হয়ে থাকে তাহলে কিছু উপসর্গের ভিত্তিতে আপনি গর্ভবতী কিনা তা নির্ণয় করতে পারেন। নিশ্চিত হতে নিচের উপসর্গগুলো নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নিন এবং বাসায় বসেই একটা প্রেগনেন্সি টেস্ট করে ফেলুন। শিশুবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘কিডস্পট ডটকম’ অবলম্বনে জেনে নিন গর্ভধারণের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ- স্তনে পরিবর্তন গর্ভাবস্থার প্রথম উপসর্গগুলোর মধ্যে একটি হলো স্তনে পরিবর্তন। গর্ভধারণের দুই সপ্তাহ আগে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে আপনার স্তনে এই পরিবর্তন (বিশেষ করে ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা) হতে পারে। তখন স্তন পূর্ণাঙ্গ এবং ভারী বলে মনে হতে পারে। অবসাদ অবসাদ এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলোর আরেকটি। গর্ভাবস্থার শুরুতে হরমোন প্রোজেস্টেরনের মাত্রা অনেক ঊর্ধ্বে থাকে। এর মাত্রা তখন এতটাই বেশি থাকে যে, এই হরমোনের ক্রমবর্ধমান প্রবাহে আপনি ক্লান্তি বোধ করতে পারেন। একই সময়ে আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণও কমে যেতে পারে। তবে রক্তচাপ কমে রক্তের বৃদ্ধি বেড়ে যেতে পারে। সামান্য রক্তপাত কখনও কখনও সামান্য রক্তপাতও গর্ভাবস্থার প্রথমিক উপসর্গ। গর্ভধারণের ১০ থেকে ১৪ দিন পর সাধারণত এ ঘটনা ঘটে থাকে। এই ধরনের রক্তপাত হালকা রঙের হয়ে থাকে। তবে এটা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বমি বমি ভাব সকালে অসুস্থতা গর্ভাবস্থার প্রাথমিক আরেকটি লক্ষণ। কিছু নারীদের গর্ভধারণের দুই সপ্তাহ পর এই উপসর্গ দেখা দেয়। আসলে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বার বার বাড়ার কারণেই এমনটি হয়ে থাকে। এ সময় গর্ভবতী নারীদের ঘ্রাণশক্তিও প্রবল হয়। প্রায় অর্ধেকের মতো গর্ভবতী নারী তাদের দ্বিতীয় মাসের শুরুর দিকে এই বমি ভাব থেকে মুক্তি পায়। আর বাকিদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও মাসখানেক থাকতে পারে। খাবারে অনীহা গর্ভবস্থার প্রথম দিকে খাবারে অনীহা বোধ হওয়া বেশ স্বাভাবিক। যদি কোনো খাদ্যদ্রব্যের গন্ধ আপনার মাঝে বমি ভাব নিয়ে আসে তবে খেয়াল করুন এমনটা ক্রমাগত হচ্ছে কি না। এমনটি হলে বুঝবেন, এটি আপনার শরীরে ক্রমবর্ধমান ইস্ট্রোজেন হরমোনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। এ সময় আপনার খুব পছন্দের কোনো খাবারে অনীহা হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কারণ গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে আপনার শরীরে হরমোনের পরিবর্তন সবচেয়ে নাটকীয় হয়। মাথাব্যথা গর্ভাবস্থায় প্রাথমিক পর্যায়ে হরমোনের পরিবর্তনের ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ঘন ঘন মাথাব্যথা হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য গর্ভাবস্থার আরেকটি প্রাথমিক উপসর্গ হলো কোষ্ঠ্যকাঠিন্য। প্রোজেস্টেরন বৃদ্ধির ফলে খাদ্যগুলো অন্ত্রের মধ্য দিয়ে আরও ধীরে ধীরে যায়। এর ফলে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হতে পারে। মন মেজাজের পরিবর্তন গর্ভাবস্থায় শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মন মেজাজের পরিবর্তন ঘটে। এ সময় আপনার একটুতেই আবেগপ্রবণ হয়ে কাঁদতে পারেন। মেজাজে পরিবর্তনের এই ঘটনাগুলো সাধারণত প্রথম তিন মাসের বেলায় হয়ে থাকে। দুর্বলতা এবং মাথা ঘোরা গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ হ্রাস পায় ফলে আপনি সবসময় ঝিমুনি বোধ করেন। এ সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ায় জ্ঞান হারানোর মতো ঘটনা ঘটতে পারে। আবার আপনি মাথা ঘোরার সমস্যায়ও ভুগতে পারেন। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি সাধারণত গর্ভবস্থায় গর্ভবতী নারীর শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি নিয়মিত আপনার শরীরের তাপমাত্রার হিসাব রাখেন তাহলে এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহের বেশি শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে। এমন হলে বুঝবেন, খুব সম্ভবত আপনি গর্ভধারণ করেছেন। পিরিয়ডের সময়কাল মিস গর্ভাবস্থার সবচেয়ে সুস্পষ্ট প্রাথমিক উপসর্গ হলো পিরিয়ডের সময়কাল মিস করা। আপনার পিরিয়ড যদি সঠিক নিয়ম মেনে হয় এবং তা যদি কখনও বন্ধ হয়ে যায়, তবে অন্য উপসর্গগুলো দেখা না গেলেও বাসায় বসেই একটা প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারেন। তবে আপনার পিরিয়ড যদি অনিয়মিত হয়ে থাকে এবং আপনি যদি এর হিসাব ঠিকমতো না রাখতে পারেন, তবে অন্য লক্ষণগুলো ভালো করে খেয়াল করুন। গর্ভবতী অনুভব অনেকেই লক্ষণ থেকে গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি নিজে নিজেই বুঝতে পারেন। পরে পরীক্ষায়ও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা সত্য প্রমাণিত হয়। গর্ভবতী হলে আপনি ক্লান্ত, হতাশ, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা বার বার টয়লেটে যেতে পারেন। এর ফলে আপনার বুকে জ্বালাপোড়াও হতে পারে। এ সময় আপনার স্তনও অনেক সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে।

আপনি কি সত্যিই গর্ভবতী? দুর্ভাগ্যবশত, উপরোক্ত উপসর্গগুলোই আপনার গর্ভাবস্থার জন্য যথেষ্ট নয়। দুর্বল হয়ে পড়লে কিংবা আপনার পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগেও এ রকম উপসর্গ হতে পারে। আবার এই উপসর্গগুলোর অভিজ্ঞতা ছাড়াও কেউ কেউ গর্ভবতী হতে পারেন। সেক্ষেত্রে কীভাবে বুঝবেন? যদি আপনি একবার পিরিয়ড মিস করেন তাহলে বাসায় বসেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করে ফেলুন। যদি বাসার এ গর্ভাবস্থা পরীক্ষা ইতিবাচক হয়, তাহলে অতি সত্ত্বর কোনো স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কাছে যান। কারণ যত তাড়াতাড়ি গর্ভাবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারবেন, জন্মপূর্ব যত্নের বিষয়টি তখন থেকেই শুরু করতে পারেন। আবার গর্ভাবস্থার সম্ভাব্য প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে উদ্বেগ বোধ করলেও এই পরীক্ষা করাতে পারেন। গর্ভধারণের পরীক্ষাগুলো সর্বোত্তম কাজ করে যদি পিরিয়ডের সময় মিস করার পরে কমপক্ষে এক কিংবা দুদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। এমনকি যদি আপনার গর্ভাবস্থা পরীক্ষার ফল নেতিবাচক হয় তাহলেও নিশ্চিত হতে কয়েকদিন পর আবার চেষ্টা করুন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied