সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র অষ্টমী স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্নান লগ্ন শুরু হয় রোববার সকাল সকাল ৬টা ১০ মিনিট থেকে সকাল ৭ ৫২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড পর্যন্ত।
প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও নেপাল থেকে পুণ্যার্থীরা অষ্টমী স্নানে অংশ নেয়। চিলমারীর রমনা ব্যাঙ মারা ঘাটে প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ পুন্যস্নানে কয়েক লাখ পুন্যার্থী অংশ নেয়।
মেলা প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা রক্ষায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুন্যার্থীদের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য নলকূপ স্থাপন ও নারী পুণ্যার্থীদের পোশাক পাল্টানোর সুবিধার্থে সরকারি, বেসরকারি ও এনজিওদের সহায়তায় দুই শতাধিক তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিবছর নির্দিষ্ট দিনে চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে হিন্দুধর্মের মানুষেরা পাপ মোচনের আশায় চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে এ স্নান উৎসব পালন করা হয়।
স্নান উপলক্ষে ব্রহ্মপুত্র চরে বসেছে হরেক রকম পন্যের মেলা।
বাংলাদেশ পূঁজা উদযাপন পরিষদ চিলমারী উপজেলা শাখার সভাপতি ডাঃ সলিল কুমার বর্মন জানান, প্রতি বছরের ন্যায় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী পূণ্যার্থীগণ অষ্টমী ¯œান মেলায় আসেন। এবছর প্রায় তিন লক্ষাধিক পূন্যার্থীর সমাগম ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা মুরাদ হাসান বেগ জানান, সরকারী ভাবে অষ্টমী স্নান মেলা স্থলে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন, বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য নলকুপ স্থাপন, মহিলাদের কাপড় বদলানোর জন্য দু’শতাধিক তাবু টাঙ্গানো হয়। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করাসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান গুলোতে পুলিশী পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।