আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

অপহরণের ৪২ দিনেও পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি শিশু বিশালকে

শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩, রাত ০৮:৩৫

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২৭ সেপ্টেম্বর॥ নীলফামারী থেকে অপহৃত শিশু বিশাল (৮) পরিবারের কাছে এখন শুধুই স্মৃতি। অপহরণের ৪২ দিন অতিবাহিত হলেও গত কাল শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি তাকে। অপহরণকারী দলের পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার হলেও পুলিশ জানতে পারেনি অপহৃত শিশু বিশাল কোথায়। আদরের সন্তানকে আর কখনও দেখতে পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন শিশু বিশালের বাবা-মা। নীলফামারী জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই কামার পাড়া গ্রাম থেকে গত ১৬ আগষ্ট ফারুক হোসেনের আট বছরের শিশু পুত্র বিশালকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এঘটনায় গত ২৪ আগষ্ট থানায় মামলা হলে ২৯ আগষ্ট অপহরণকারী দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়েও পুলিশ জানতে পারেনি শিশু বিশাল জীবিত না মৃত। শিশু বিশালের বাবা ফারুক হোসেন জানান, ঘটনার দিন ছিল শুক্রবার। জুম্মার নামাজ পড়ে বাড়িতে সেমাই খেয়ে পাশের দোকানে বন্ধুদেরসাথে টিভি দেখে সে। এরপর থেকে তাকে পাওয়া না গেলে গত ১৭ আগষ্ট (শনিবার) প্রতিবেশী নূরজ্জামান (৩০) একটি মোইল নম্বর থেকে ফোনে শিশু বিশালকে অপহরণের দায় স্বীকার করে ১০ লাখ টাকা মুক্তি পণ দাবি করে। ফেনালাপে ছয় লাখ টাকার দফরফা হলে ওই নম্বর থেকে ছেলে বিশাল কথা বলে তার সাথে। এরপর নূরজ্জামানসহ পাঁচ জন গ্রেপ্তার হলেও উদ্ধার হয়নি শিশু বিশাল। এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নীলফামারী সদর থানার সাবইন্সপেক্টর তপন কুমার রায় জানান, অপহরণের ঘটনায় গত ২৪ আগষ্ট অপহৃত বিশালের দাদা (ঠাকুর দাদা) মখলেজ উদ্দীন (৬৫) বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এরপর মোইল নম্বরের সূত্র ধরে ২৯ আগষ্ট দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ঠোষার মোড় থেকে শিশু বিশালের প্রতিবেশী নূরজ্জামান, তার স্ত্রী আছিয়া আক্তার বর্ষা (২২) ও তার স্ত্রীর বড় ভাই দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার দণি সাহরাজপুর গ্রামের ফজলুর রহমান (২৪), এবং নারায়নগঞ্জ থেকে রূপগঞ্জ উপজেলার সবুজ মিয়া (২১) ও হাফিজুল ইসলামকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েক দফায় রিমান্ডে অপহরণের দায় স্বীকার করলেও শিশু বিশালের অবস্থান সম্পর্কে মুখ খুলছে না তারা। তাদের এমন নিরবতায় শিশু বিশালকে অপহরণের পর ভারতে পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু আককাস আহমেদ।#

মন্তব্য করুন


 

Link copied