আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ১২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শো-কজ

রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩, সকাল ০৯:১৭

কুরবান আলী, দিনাজপুর॥ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১২ জন শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবৎ অনুপস্থিত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার জানান, ১২ জন শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করা হয়। এরপর কলেজ পরিচালনা পরিষদের মাসিক সভায় বিষয়টি আলোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অবহিতকরণ পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। তবে কলেজের শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। নিয়মিত ক্লস ও ব্যবহারিক পরীক্ষ চলছে। কোন সেশন জট নাই। ভর্তিকৃত শিক্ষর্থীদের আবাসিক সুবিধা যথেষ্ট রয়েছে। দিমেক হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এবিএম ইকবাল জানান, বর্তমান মহাজোট সরকারের সময়ে হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ইকবালুর রহিম এমপি’র প্রচেষ্টায় দিমেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। দরিদ্র ও অভাবী জনগোষ্ঠীর রোগীসহ সকল রোগীদেরই জটিল রোগ শনাক্ত করতে ব্যয়বহুল এমআরআই, সিটিস্ক্যান, এন্ডোস্কপি ও ডায়ালইসিস মেশিন স্থাপনে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এসব অত্যাধুনিক মেশিন স্থাপনের ফলে দরিদ্র রোগীরা এই হাসপাতালে বিনা মূল্যে তাদের রোগ নির্ণয়ের সুযোগ পাচ্ছে। হাসপাতালের বাইরে রাজধানী ঢাকায় এসব পরীক্ষার জন্য রোগীদের আর যেতে হয়না। স্বল্প মূল্যই এখানে রোগ নির্ণয়ের সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও রোগ নির্ণয়ের জন্য মেশিন স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হাসপাতালটি ১৯৯২ সালে স্থাপন হলেও চিকিৎসা সেবা শুরু হয়েছে ২০১০ সালের ১৭ মার্চ থেকে। ২৫০ শয্যার অবকাঠামো থাকলেও এখানে ৫শ শয্যা রোগীর চিকিৎসা দেয়ার সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে মেডিসিন, সার্জারী, শিশু সার্জারী, শিশু বিভাগ, অর্থপেডিক, গাইনী, চক্ষু, দন্ত, নিউরোলোজী, কার্ডিওলোজী, চর্ম বিভাগে রোগী ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও করোনারী কেয়ার ইউনিট, সিটিস্ক্যান, এমআরআই, এন্ডোস্কপি ও ডায়ালাইসিস ইউনিটে রোগীদের পরীা-নিরীার সুযোগ রয়েছে। তবে সার্বনিক বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। সার্বক্ষনিক চিকিৎসা সেবা ও প্যাথলজিষ্ট সেবা, মেডিসিন কাব, সন্ধানী ও ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে রোগীদের রক্ত সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টানি চিকিৎসকদের সভাপতি ডাঃ মোঃ সাদেকুর রহমান জানান, এই মেডিকেল কলেজে গত ৫ বছর থেকে ১৪৬ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে। এখান থেকে পাশকরা চিকিৎসকদের মধ্য থেকে ২৮ ভাগ শিক্ষার্থী এফসিপিএস এ ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে ১৮টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে এবারে এমবিবিএস পরীক্ষায় কৃতিকার্য চিকিৎসকদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে এই কলেজের চিকিৎসক ডাঃ ফৌউজিয়া জামান জিনিয়া। গত বছর তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল ডাঃ ফরহাদ হোসেন। এখানে শিকের শূণ্যপদ রয়েছে। তারপরেও অধ্য এবং কলেজ পরিচালনা পরিষদের তদারকির কারণে নিয়মিত কাস ও ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে দেশের অন্যান্য কলেজের তুলনায় এই কলেজে শিক্ষার মান অনেক ভালো। গত ৫ বছরে এই কলেজে কোন রাজনৈতিক সহিংসতা বা অপ্রীতিকরণ ঘটনা ঘটেনি এবং কোন সেশন জোট নেই।

মন্তব্য করুন


 

Link copied