আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

বিভাজন মিটেছে, চলবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন

মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল ২০১৮, রাত ১০:৫৬

ডেস্ক: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিভক্ত হওয়া দুই অংশ আবারও এক হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সমাধান না আসা পর্যন্ত তারা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ১০ এপ্রিল, মঙ্গলবার বিকেলে বিভেদ ভুলে ‘ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের’ ব্যানারে এই আন্দোলন চলবে। এর আগে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্তে দুটি অংশে ভাগ হয়ে যায় চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে। বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট করে কোনো বিবৃতি না আসা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ এ সময় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর কুশপুতুলে জুতার মালা পরানো হয় এবং পরে সেটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে মতিয়া চৌধুরীর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আবারও অবরোধ করে দেশ অচল করার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। ৯ এপ্রিল সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সুযোগ পাবে না, রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে? তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংকোচিত হবে? পরিষ্কার বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধ চলছে, চলবে। রাজাকারের বাচ্চাদের আমরা দেখে নেব।’ ৮ এপ্রিল শাহবাগ মোড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের হটানোর জন্য রাত ৮টার দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিচার্জ শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর শুরু হয় দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় শাহবাগ-টিএসসি এলাকা। আহত হন অনেকে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ৯ এপ্রিল, সোমবার বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। সে সময় সেতুমন্ত্রী তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে আগামী ৭ মে পর্যন্ত এ আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় দুটি ভাগে ভাগ হয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্তে একটি অংশ ফিরে যান, অপর অংশ রাজু ভাস্কর্যের সামনেই থেকে যান। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কারণে মঙ্গলবারের কর্মসূচি ঘোষণা করে এই অংশটিও ফিরে যান এবং সকালে আবারও একত্রিত হন তারা। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিন দিনের মধ্যে কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং এ ব্যাপারে সকল আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied