এই ঘটনার পর মধ্যরাতেই ছাত্রলীগের ওই নেত্রীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযুক্ত ওই নেত্রীকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়।
ওই হলের বেশ কয়েকজন সাধারণ ছাত্রী অভিযোগ করেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলনে অংশ নেয়ায় রাতে বোটানি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী মোর্শেদা আক্তারকে নিজের রুমে ডেকে নিয়ে যান হলের সভাপতি ইফফাত জাহান। পরে তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে মোর্শেদার পা ধারালো বস্তুর আঘাতে কেটে যায় বলে ছাত্রীরা অভিযোগ করেন। এছাড়া অপর একজনের মাথায় সেলাই দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে হল থেকে বের করে দেয়ার দাবিতে রাতেই হলের সাধারণ ছাত্রীরা বিক্ষোভ করছে। নতুবা হলের সব মেয়ে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘটনার পর মধ্যরাতেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইফফাতকে দল থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এছাড়া ঘটনা তদন্ত করা হবে বলে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে এশাকে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেন। ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এশাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।