সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলা বর্ষবরণ করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর। নববর্ষ বরণ উপলক্ষ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সকালে উদ্বোধনী যন্ত্রবাদন, মঙ্গল শোভাযাত্রা, বৈশাখী মেলা, শুভেচ্ছা কথন ও বর্ষবরণ সংগীত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিকালে বৈশাখী কনসার্টের আয়োজন করা হয়।
১৪ এপ্রিল ২০১৮ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে যন্ত্রবাদনের মধ্যদিয়ে বাংলা বর্ষবরণ ১৪২৫ উদ্যাপন শুরু করা হলেও মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টায় বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে। মঙ্গল শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
মঙ্গল শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে মর্ডাণ মোড় প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে সবগুলো বিভাগের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী বিভিন্ন স্টোলের বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করা হয়। সাড়ে ১০টায় পহেলা বৈশাখকে ঘিরে শুভেচ্ছা বক্তব্য শুরু হয় এবং পরে জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ, রংপুরের অংশগ্রহণে বর্ষবরণ সংগীত পরিবেশিত হয় ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত এসকল অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতায় প্রধান অতিথি মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন জনাব ফেরদৌস রহমান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর ড. আবু কালাম মোঃ ফরিদ উল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. গাজী মাজহারুল আনোয়ার, কলা অনুষদের ডিন ও পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. পরিমল চন্দ্র বর্মণ।
ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি লালনের সাথে এসকল পর্ব অতপ্রতভাবে জড়িয়ে আছে। আবহমান কাল ধরে এগুলোর চর্চা বাঙ্গালি সংস্কৃতির অন্যতম অংশ হিসেবে বিবেচ্য। তিনি সকলকে শিল্প-সংস্কৃতিসহ বাঙ্গালি জাতি সত্ত্বাকে ধারণ করার আহবান জানান।
দিনব্যাপী বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। বিকালে বৈশাখী কনসার্ট-এর পর দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী হবে।