হারিয়ে যাওয়া সব অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনে বাঙালী আনায় নীলফামারীতে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫।
আজ শনিবার পহেলা বৈশাখে নীলফামারী যেন সজ্জিত হয় নতুন রূপে। রাস্তা ঘাট স্কুল কলেজ মেতে উঠেছে বাঙ্গালীপনায়।
ঢাক, ঢোল, ঘোড়ার গাড়ী,গরুর গাড়ি, মাটির থালা বাসন শোভা পেয়েছে দিনটির নানা অনুষ্ঠানে।
রং উল্লাস আর নেচে গেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলাবাসী বরণ করছে নতুন বাংলা বছরকে।
জেলা প্রশাসন, ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল কলেজ, বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, পৌর আওয়ামী লীগ পহেলা বৈশাখে পান্থা ভাত খাওয়ার আসর বসিয়ে বাঙ্গালী ঐতিহ্য তুলে ধরছেন।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ চত্বর থেকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. এম,কে আলম চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাহিদ পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহিনুর আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট আযহারুল ইসলাম, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোতালেব হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসফিকুর ইসলাম রিন্টু সহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে বিভিন্ন সংগঠন একত্রিত হয়ে সকাল ৯টায় ঢাক ঢোল, ব্যানার, ফেস্টুন, গরুর গাড়ি, কুলা, ডালি, এবং
পালকিতে করে বর-বধু সেজে পহেলা বৈশাখের প্রথম বর্ণাঢ্য মঙ্গলযাত্রা বের করে শহর প্রদক্ষিণ করে।
এরপর কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের চম্পাতলী বৈখাখী উৎসবে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে
স্থানীয় শিল্পীগন সঙ্গীন ও
নৃত্যু পরিবেশন করে।
সেখানে জেলা প্রশাসনের পক্ষে গণ পান্থা উৎসব, গ্রামীণ মেলা ও শিশু আনন্দ মেলা করা হয়। সকাল সাড়ে দশটায় শিশুদের জন্য বিভিন্ন খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের ঐহিত্যবাহী খাবার বিতরণ করা হয়। বিকেলে নীলফামারী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কাবাডি, লাঠি খেলা ও ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা ১২ টায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ সুপার কার্যালয় চত্বরে বর্ষবরণ ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।
এ ছাড়াও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ চত্বরে,
মড়াল সংঘের আয়োজনে আলিয়া মাদ্রাসা চত্বরে, টাউন ক্লাব, সবুজ ক্রিড়া সংস্থা, সরকারি মহিলা কলেজ,সরকারি কলেজ, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে খেলা ধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিরতীহীনভাবে চলছে।
প্রতিটি অনুষ্ঠানে দর্শকদের উপচে পড়া ভীড়।
এ ছাড়াও বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনের পক্ষে চলছে পান্থা ও শুটকি মাছের ভর্তা উৎসবতো রয়েছেই।