ডেস্ক রিপোর্ট: কুড়িগ্রামে প্রতারণার অভিযোগ দুবাই ফেরত প্রবাসীর করা মামলায় তার শ্বশুর ও শ্যালককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এ মামলায় অভিযুক্ত আসামি তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের ছত্রজিৎ গ্রামে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, কেতাব আলী মোল্লার পুত্র খোরশেদ আলী মোল্লা (৩৭) দুবাইতে চাকরিকালীন তার স্ত্রী ও একই গ্রামের আ. করিমের কন্যা কহিনুর বেগমের কাছে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ১ লাখ ৬ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার পাঠান। দীর্ঘ ৯ বছর চাকরি শেষে খোরশেদ দেশে ফেরত এলে কহিনুর বেগম (৩০) বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। এর এক সপ্তাহ পর কহিনুর খোরশেদের কাছে ফেরত আসতে অস্বীকৃতি জানান। পাওনা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারও ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান তারা। এ ঘটনায় খোরশেদ আলী বাদী হয়ে স্ত্রী কহিনুর বেগম, শ্বশুর আব্দুল করিম ও বড় শ্যালক ইয়াকুব আলী ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে একটি মামলা করেন।এছাড়া স্ত্রী ফেরত পেতে বিজ্ঞ নির্বাহী ও প্রতিরোধমূলক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অপর একটি মামলা করেন। প্রতারণার মামলায় গত ১১ এপ্রিল জামিন আবেদনের পর কুড়িগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বিমল চন্দ্র পাল আসামি আব্দুল করিম ও ইয়াকুব আলী ইব্রাহিমের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলায় খোরশেদের স্ত্রী কহিনুরের বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার বাদী খোরশেদ আলী মোল্লা বলেন, আমার দুটি সন্তান রয়েছে। মামলা করার পর থেকে স্ত্রী কহিনুরে কোন সন্ধান পাচ্ছি না। তার সন্ধানদাতাকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দেন তিনি।
রাজারহাট থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ২টি মামলাই আমি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছি। কহিনুরের বিরুদ্ধে আদালতের একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরও সন্ধান না পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।