পুলিশ জানায়, জিম (১০) নামের এক শিশু চলনালী গ্রামের একটি মাদরাসায় পবিত্র কোরআন শিক্ষার জন্য ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু নানা অজুহাতে হুজুর ইয়ারুল ইসলাম ওই শিশুকে পায়ে শেকল বেঁধে আটকে রাখতো। বিভিন্ন সময় ভয়ে শিশুটি পালিয়ে যেত। পরে পরিবারের সদস্য বুঝিয়ে আবারও মাদরাসায় রেখে আসতেন। সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল শিশুটি আবারও পায়ে শেকল বেঁধে পাঠদানে বাধ্য করা হতো। পায়ে শেকল বেঁধে রাখার যন্ত্রণা সইতে না পেরে শিশু জিম কান্নাকাটি শুরু করে। গত শুক্রবার ২০ এপ্রিল রাতে সুযোগ বুঝে শিশু জিম ওই রাতেই মাদরাসা থেকে পালিয়ে আসে গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় বাজারপাড়া মহলায়। তারা কান্নাকাটি ও পায়ে শেকল বাঁধা দেখে একটি পরিবার তাকে আশ্রয় দেয়। আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
জিমের ভাষ্যমতে, তারা বাড়ি উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের কাছিকাটা দক্ষিন পাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত আয়নুল হক। মেয়েটির মা মিনিয়ারা বেগম জানান, তার মেয়ে পড়াশুনা তেমন করতে চায়না। তার জন্য মাদরাসার হুজুরকে বলেছিলাম শাসন করার জন্য। কিন্তু হুজুর যে এমন করবে বুঝতে পারিনি। তিনি হুজুরের শাস্তি দাবী করেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগ পাইনি, পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।