নাটোর: লালপুর উপজেলায় ৭/৮ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রেমিক ও প্রেমিকার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এবি ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। উপজেলার নবীনগর গ্রামের প্রেমিক এজাজুল করিম (২২) শনিবার রাতে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। এদিকে একই কায়দায় উপজেলার শ্রীরাম গাড়ি গ্রামে রবিবার সকালে প্রেমিকা পপি খাতুন (১৬) গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রবিবার সকালে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করেছে।
করিম ওই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে। তিনি পাবনা পলিটেকনিক্যাল কলেজের সিভিল শাখার ৩য় বর্ষের ছাত্র। পপি শ্রীরাম গাড়ী গ্রামের সাজদার আলীর মেয়ে। তিনি পাটিকাবাড়ী বিলায়েত খান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
জানা গেছে, পপি খাতুনের প্রতিবেশী শ্রীরাম গাড়ী গ্রামের এক মেয়ের বিয়ে হয় নবীনগর গ্রামে। এই সূত্র ধরে করিমের সাথে পরিচয় হয় পপির এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিবার রাতের কোন এক সময় করিম গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। রবিবার সকালে পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করে তার সাড়া না পেলে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। এদিকে করিমের মৃত্যুর খবর শুনে সকাল সাড়ে দশটার দিকে পপিও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ রবিবার সাকলে তাদের লাশ উদ্ধার করেছে।
লালপুর থানার ওসি আবু ওবায়েদ জানান, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা তা এই মুহুর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এটা রটনাও হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।