ডেস্ক।। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী এলাকায় এশিয়ার সর্ববৃহৎ আমগাছটির ফল এ বছর দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। গাছের মালিক সাইদুর রহমান ও নূর ইসলাম ফল পাকার আগেই কাঁচা অবস্থায় গাছের আম বিক্রি করে দেন।
আম ক্রয়কারী সোলেমান আলী জানান, ‘দেড় লাখ টাকায় তিন বছরের জন্য গাছটি লিজ নিয়েছি। ফলন মৌসুমে গাছটি আমাকে দেখাশোনা করতে হয়। এ বছর ভালোই আম ধরেছে। তবে ঝড়ে কিছু আম ঝরে পড়ছে। তারপরও আশা করছি, প্রায় ৮০ মণের মতো আম পাওয়া যাবে।
গাছের মালিক নূর ইসলাম বলেন, সূর্যাপুরী জাতের এই গাছটির আম খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি। আগে মৌসুমে ১শ মণের বেশি আম পাওয়া গেলেও এখন ৭০ থেকে ৮০ মণ আম পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক মানুষ অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখে আমের জন্য। তবে তিন বছরের জন্য কেনা সব আম অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
গাছটি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে নূর ইসলাম আরো বলেন, এ আম গাছটি দেখতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রত্যহ শতশত মানুষ এখানে ছুটে আসে। তাই এ গাছটিকে ঘিরে পিকনিক স্পট গড়ে তোলার ইচ্ছে আছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এলাকাটিকে পিকনিক স্পট হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিয়ার রহমান বলেন, ব্যতিক্রমী এ গাছের আম বাজারের অন্যান্য গাছের আমের চাইতে চাহিদাও বেশি এবং দামও বেশি। এখানকার আমের পাশাপাশি এই গাছের চারার চাহিদাও রয়েছে। এ গাছটির জাত সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে প্রতি বছর অসংখ্য চারা করা হয় এবং আগ্রহীদের নিকট বিক্রি করা হয়।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা অফিসার আব্দুল মান্নান জানান, এ আম গাছটি প্রায় ২ বিঘাজুড়ে অবস্থিত। এ বিশাল আকৃতির গাছটি দেখতে আসা দর্শনার্থীদের কথা ভেবে এটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা সরকারের উচ্চ মহলে পাঠানো হয়েছে।
বিশাল এ আমগাছটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও একদল উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের গবেষক পরিদর্শন করে এ গাছটিকে বিরল প্রজাতির গাছ বলে দাবি করেন।