আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার        জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে      

 width=
 

উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলায় মাদকের দেড় শতাধিক হাট

রবিবার, ১৩ মে ২০১৮, সকাল ০৮:০০

ডেস্ক: দেশের উত্তরাঞ্চলের ৫টি জেলায় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্যের ব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। জেলাগুলো হল- রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এ ৫ জেলায় রয়েছে দেড় শতাধিক মাদকের হাট বা স্পট। এসব হাটে মাদক আসে ভারত থেকে শতাধিক রুটে। সবচেয়ে বেশি হাট বা স্পট আছে গাইবান্ধায়। ৫ জেলার হাটগুলোর নিয়ন্ত্রণে আছেন ৪ শতাধিক ব্যক্তি। এদের মধ্যে যেমন রয়েছে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী, তেমনি আছে সন্ত্রাসী, আছেন মসজিদের ইমাম, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (নারকোটিক্স) কর্মকর্তাসহ নানা পেশার মানুষ। এসব অঞ্চলে মাদক ও মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ নেতা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রস্তুত করা মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা সংবলিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ ৫ জেলায় মাদকের আগ্রাসন ঠেকাতে বেশ কিছু সুপারিশও করা হয়েছে প্রতিবেদনে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সারা দেশের মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হয়। এরই অংশ হিসেবে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর তালিকা প্রস্তুত করা হয়। তালিকা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে গত বছরের ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ফরিদ আহাম্মদ স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিবের দফতরে দেয়া হয়। ২৫ অক্টোবর সুরক্ষা বিভাগের উপসচিব ফেরদৌস রওশন আরা ওই গোপনীয় প্রতিবেদনের ওপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তা পাঠিয়ে দেন জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের কাছে। এরপর ২০ নভেম্বর জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মল্লিকা খাতুন প্রতিবেদনটি পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে পাঠান। সম্প্রতি তালিকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে পুলিশ সদর দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট জেলার এসপিদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর রেঞ্জের এএসপি (ক্রাইম) এবিএম জাহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদর দফতর থেকে উত্তরাঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা এসপিদের কাছে পাঠানোর পাশাপাশি রেঞ্জ অফিসে পাঠানো হয়েছে। আমরা তালিকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার এসপিদের নির্দেশনা দিয়েছি। এসপিদের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যরা এ নিয়ে কাজ করছেন। যার বিরুদ্ধেই মাদক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যাবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ জেলায় মাদক বিক্রির যে দেড় শতাধিক হাট বা স্পট আছে তার মধ্যে রংপুরে ২৫টি, কুড়িগ্রামে ৪২টি, গাইবান্ধায় ৬৫টি, লালমনিরহাটে ১১টি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮টি। এ অঞ্চলে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কমপক্ষে ৩১২ জন। এদের পৃষ্ঠপোষক আছেন ৭২ জন। এসব মাদক ব্যবসায়ী ও পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যে অনেকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধি। এছাড়া নিয়মিত মাসোয়ারার বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করেন এমন পুলিশ সদস্যের সংখ্যা কমপক্ষে ৪৩ জন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে এসব জেলায় চোরাইপথে অবাধে ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদক প্রবেশ করছে। বিভিন্ন স্পটে নারী ও শিশুদের দিয়ে মাদক বিক্রি করানো হয়। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। মাদক ব্যববসায়ী বা চোরাকারবারিদের কেউ কেউ মাঝেমধ্যে ধরা পড়লেও আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো অনুন্নত ও অনগ্রসর হওয়ায় সেখানকার মানুষের বেশিরভাগই হতদরিদ্র। মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিরা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অল্প সময়ে অধিক অর্থ উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে হতদরিদ্রদের মাধ্যমে মাদক সরবরাহ করছে। এতে একদিকে যেমন মাদকসেবীর সংখ্যা বাড়ছে, অপরদিকে মাদকের টাকা জোগাড় করতে মাদকসেবীরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ, অপহরণসহ নানা অপরাধে জড়াচ্ছে। এতে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি দেশের জাতীয় সমস্যায় মোড় নিতে পারে। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ পাঁচ জেলায় মাদকের ভয়াবহতা প্রতিরোধে প্রতিবেদনে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সংশ্লিষ্ট এলাকায় আকস্মিক অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নিজ নিজ দফতরের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া, দেশে যাতে মাদক প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ও নজরদারি আরও বাড়ানো, জেলা পর্যায়ে গঠিত টাস্কফোর্সের মাদকবিরোধী অভিযান অধিকতর জোরদার করা, প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় কমিউনিটি চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে মাদক প্রতিরোধে উদ্যোগ নেয়া। খবর- যুগান্তর

মন্তব্য করুন


 

Link copied