আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: লালমনিরহাটে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল, হঠাৎ পিছন থেকে ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়লেন যুবক       ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পরে ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার       ছুটি বাড়ল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে       ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা      

 width=
 

ফেসবুক পোস্টে মিথ্যাচারের জবাব দিলেন ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশি শোভন

সোমবার, ১৪ মে ২০১৮, দুপুর ০৩:০২

 হাসান আল সাকিব,নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পদপ্রত্যাশী ও কুড়িগ্রামের কৃতি সন্তান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো মিথ্যা তথ্যের জবাব দিয়েছেন শোভন নিজেই। ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করা পোস্টটি এখন ফেসবুকে ভাইরাল। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মেধাবী ও স্বচ্ছ ছাত্রলীগ এ নেতাকে নিয়ে মিথ্যে তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রনেতারা। মিথ্যা তথ্যে প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ ও দেশনেত্রীর শেখ হাসিনার এ ব্যাপারে সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন শোভন। রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন তার ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করা স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হবহু তুলে ধরা হলো। তিনি লিখেছেন- আমি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী (শোভন), বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্রকর্মী । বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনকে ঘিরে, বিশেষ করে আমাকে ঘিরে অপপ্রচার শুরু হয়েছে । আমার দাদা মরহুম শামসুল হক চৌধুরী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং একইসাথে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক(৬নং সেক্টরের প্রচার বিভাগের চেয়ারম্যান), সংসদ সদস্য ১৯৭৩ ও ১৯৭৯। তিনি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশকে পুনর্গঠিত করার জন্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করার জন্য ৭৫ পরবর্তী ১৯৭৭ সালে দেশ ও দলের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১ সালেও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে জাতীয় নির্বাচন করেন। ২০০৭ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আমি আমার দাদাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য সম্মান চাই। আমার নানা মরহুম গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, তিনিও একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। আজ আমার জন্য এই মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বানানো হচ্ছে। যা সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের জন্য অত্যন্ত অবমাননাকর ও চরম অসম্মানের। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা কে রাজাকার বানানোর দায়িত্বে কারা ?? আমি চাইনা, আমার জন্য একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার অপবাদ দেওয়া হউক।আমার পদ-পদবীর চেয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের সম্মান লক্ষ কোটি গুন। আমার বাবা, যিনি ১৯৮১ সালে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ১৯৯১ সালে থানা যুবলীগ এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন । ২০০১ সালে থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক(২০০১-২০১০) ও ২০১১ সালে পুনঃরায় থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক (২০১১- অদ্যাবদি)। বর্তমানে তিনি নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান । তিনিও অত্যন্ত ব্যথিত ও মর্মাহত এজন্য যে মিথ্যা অজুহাতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। আমার মা কি পরিমান মর্মাহত তা লেখায় প্রকাশ করবার ভাষা আমার জানা নেই। আজ শুধুমাত্র আমার কারণে (ছাত্রলীগ এর পদপ্রার্থী হবার কারণে) তার মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে রাজাকার বলা হচ্ছে । .........এই প্রশ্নের উত্তর কি দিব তা আমার জানা নেই। আজ যেখানে আদর্শিক আর অনাদর্শিকের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, সেখানে আমার ছাত্রলীগ করাটা এখন অপরাধ । প্রয়োজনে আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করব। তবুও আপনারা একজন মুক্তিযোদ্ধাকে আর কখনো রাজাকার বানানোর চেষ্টা করবেন না ।এটা পাপ। আমার একমাত্র ছোট ভাই যে ঢাকা মহানগর দক্ষিন শাখা ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক। প্রয়োজনে তাকেও ছাত্রলীগ করার প্রয়োজন নাই। আমি অবিবাহিত, আমার নামে কোন প্রকারের মামলা নাই। আমি সংগঠন বিরোধী কোন কাজ করিনি। তবে এতোটুকু বলতে পারি, আমি আর ছাত্রলীগ না করতে পারলেও আমি আমার পূর্বসূরিদের মত, এ দেশ ও দলের (বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ) জন্য জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও কাজ করে যাবো। বেঈমানি আমি করব না, আমার রক্তে বেঈমানি নাই ।এ রক্ত বেঈমানি করতে পারে না । ক্ষমা করবেন । কারণ আপনারা যা পারেন, আমি তা পারি না । এতটা নিচে আমি নামতে পারি না । সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য বানাতে বিবেকে বাঁধে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied