লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পাটের গোডাউনসহ ১৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পাট গোডাউন ও দোকান মালিকরা জানান।
রবিবার (২০ মে) ভোর সাড়ে ৫টার সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের মারাইরহাট বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ অগ্নিকান্ড ডিস লাইনেরর কন্ট্রোল রুমে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হয়েছে।
পরে বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মমিনুল হক ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩টি কাপড়ের দোকান, ২টি টেইলার্স, ২টি ইলেকট্রনিক্স’র দোকান, ১টি কম্পিউটার, ৪টি মুদি দোকান, ১টি মসলা দোকান, ১টি কসমেটিকস্ দোকান, ১টি হোমিও পেথিক দোকান ও ফটোকপির দোকান, ১টি জুতার দোকান, ১টি হার্ডওয়্যার’র দোকান এবং ১টি পাটের গোডাউন সম্পুনূভাবে পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ গোডউন ও দোকান মালিকরা হলেন, রাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাট ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন মোফা, কাপড়ের দোকান মালিক দ্বীননাথ রায় ও রাজেশ, টেইলার্স মালিক হেমন্ত, কসমেটিক্সের দোকান মালিক পুলিন সরকার, মুদি দোকান মালিক সিরাজুল, ২ ইলেকট্রনিক্স দোকানদার মালিক পরিমল ও প্রফুল্ল, পল্লী চিকিৎসকের দোকান মালিক জগদিশ।
ওই বাজারের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেহরীর পর পরই হঠাৎ করে ডিস লাইনেরর কন্ট্রোল রুমে আগুন লাগে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন গোটা বাজারে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন দেখে বাজারের লোকজন চিৎকার করে আশে পাশের লোকজনদের ডেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এরই মধ্যে আগুন দ্রæত পাট গোডাউনে আগুন লেগে যায়। অবস্থা খারাপ হলে স্থানীয় লোকজন লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। এর মধ্যেই আগুন আরো দ্রæত আশে পাশের আরও কয়েকটি দোকানে ছড়িয়ে পরে।
লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়ার পরও তারা না আসায় পরে কাউনিয়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। দুই ঘন্টা পর কাউনিয়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ্আসায় স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয় এবং গাড়ির লুকিং গ্রাস ভেঙ্গে দেয়। পরে ফায়ার সাভিসের কর্মীরা নিরাপত্তার জন্য লালমনিরহাট সদর থানার সাহায্য নেন। সদর থানার এসআই শাহাদৎ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর স্থানীয়দের সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। তবে এরই মধ্যে ওই বাজারের পাটের গোডাউরসহ ১৯টি দোকানের মালামাল টাকা পয়সা সব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তাদের আর কোন কিছুই বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে রাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন মোফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত কওে জানান, বাজার থেকে আমার বাড়ি প্রায় দুই কিঃমিঃ তিস্তার ওপারে। লোক মুখে জানতে পারি, ওই বাজারে আগুন লেগে আমার পাটের গোডাউরসহ বাজারের দোকানপাট পুড়ে গেছে। তবে বাজারের ডিস লাইনেরর কন্ট্রোল রুম থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারনে আগুন লাগতে পাওে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা হচ্ছে। এতে করে তার পাট পুড়ে ৯লক্ষাধিক সেখানকার ওই ১৯টি দোকানের সব মালামাল পুড়ে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকরা জানিয়েছেন।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম মমিনুল হক বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা একেবারেই খারাপ। তাদের পরিবার ওই দোনের আয়ের উপরই নির্ভরশীল। তাই প্রাথমিক অবস্থায় সরকারী ভাবে তাদেও জন্য যেটুকু সহযোগীতা করা যায় করা হবে। এ ছাড়াও উপজেলা পরিষদের অপ্রত্যাশিত তহবীল থেকে আমরা তাদের সহযোগীতা করবো।