আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

পাকস্থলীর আত্নকাহিনী

মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০১৩, রাত ০৯:৪৫

খাদ্য পরিপাকতন্ত্রের পৌঁছানোর জন্য মধ্যাকর্ষন শক্তির দরকার হয় না। আমরা যখন খাদ্য খাই তখন এই খাদ্য এমনি এমনি পেটে চলে যায় না। খাদ্যনালী খাদ্যকে পরিপাকতন্ত্রে পৌঁছে দেয়ার জন্য সংকুচিত ও প্রসারিত হয় এবং খাদ্যকে চাপতে চাপতে পাকস্থলীতে পৌঁছে দেয়্। আপনি খাদ্য গ্রহণের সময় যদি মাথা উপর দিকে করে রাখেন তবুও পাকস্থলী তার খাদ্য পরিপাকতন্ত্র দিয়ে জায়গা মতো পৌঁছে দেয়।

কাপড় ধোঁয়ার ডিটারজেন্টর ধারণাটি পাকস্থলী থেকে নেয়া হয়েছে। কাপড় ধোঁয়ার ডিটারজেন্টে বেশ কয়েক ধরনের পদার্থ থাকে। যেমন, এনজাইম, প্রটিসেস, এমাইলেসেস ও লিপাসেস। মানুষের পাকস্থলীতেও এই পদার্থগুলো বিদ্যমান।

আমাদের পাকস্থলীও খাদ্য হজম করার জন্য এই পদার্থ ব্যবহার করে। এনজাইম খাদ্যকে ভাঙতে সাহায্য করে, প্রটিসেস প্রোটিনকে ভাঙে, এমাইলেসেস কার্বোহাইড্রেটকে ভাঙে ও লিপসেস ভাঙে চর্বিকে। উদাহরণ স্বরুপ, আমাদের মুখের লালাতে এমাইলেসেস ও লিপাসেস দুটোই বিদ্যমান। আর আমাদের পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্তে প্রটিসেস রয়েছে।

আমাদের পাকস্থলী খাদ্য হজম করে না। আমরা সবাই জানি যে, পাকস্থলী আমাদের খাদ্য হজম করে থাকে আর অন্য অঙ্গগুলো খাদ্যকে হালুয়া বানিয়ে আমাদের রক্তে মিশিয়ে দেয়। আসলে পাকস্থলী খাদ্য হজমে খুব কমই ভূমিকা রাখে। খাদ্য হজমের জন্য হালুয়া তৈরির কাজটি মূলত পাকস্থলীর দুই তৃতীয়াংশ অংশ ধরে জালের মতো পেচিয়ে থাকা ক্ষুদ্রান্তে সম্পন্ন হয়ে যায়। যদিওবা কিছু বাকী থাকে তা সম্পন্ন করে এনজাইম।

বিশাল আকৃতির ক্ষুদ্রান্ত্র। আমাদের ক্ষৃদ্রান্ত্রের দৈর্ঘ প্রায় ২২ ফুট লম্বা ও ব্যস প্রায় এক ইঞ্চি। এই হিসেব থেকে আপনি হয়তো ভাববেন যে, এর দৈর্ঘ বড় জোড় ৬ বর্গ ফুট হবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমাদের পেটের ভিতর থাকার এই জিলাপির প্যাঁচ ২৭০০ বর্গ ফুট বা ২৫০ বর্গ গজ বা একটি টেনিস খেলার মাঠের সমান।

এই বিশাল দৈর্ঘের কারণ হলো এর বহির্ভাগের গঠন। এটা আঙুলের মতো ভাঁজ হয়ে থাকা অংশটুকু শুধু দেখা যায়। এর সাথে যুক্ত থাকে মাইক্রোস্কোপিক প্রোজেকশন বা মাইক্রোভিলি। এটা ক্ষুদ্রান্ত্রকে খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে।

প্রাণীজগতের বিচিত্র সব পাকস্থলী। পাকস্থলী হলো পরিপাক প্রণালীর একটি অপরিহায অঙ্গ কিন্তু প্রাণীদের রয়েছে বিচিত্র সব পাকস্থলী। কোন কোন প্রাণীর পাকস্থলীতে রয়েছে একাধিক থলে। এটাকেই একাধিক পাকস্থলী ভেবে আমরা ভূল করি। গরু এবং অন্যান্য জাবরকাটা প্রাণী যেমন জিরাফ, হরিণ ও মহিষের চারটি করে থলে থাকে পাকস্থলীতে, যা তাদের তৃণজাতীয় খাদ্যকে হজমে সহায়তা করে। কিন্তু প্রাণী আছে যেমন-সীহর্স, লাংফিস ও প্লাটিপাসের কোন পাকস্থলীই নেই। এদের খাবার সরাসরি খাদ্যনালী দিয়ে অন্ত্রে চলে যায়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied