আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

জাতীয় পার্টি যেদিকে, ক্ষমতার মুকুট সেদিক

মঙ্গলবার, ২৯ মে ২০১৮, দুপুর ১২:১১

ডেস্ক রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার গঠনের নিয়ামক শক্তি এরশাদই। তাই জাতীয় পার্টিকে নিয়েই ক্ষমতায় যাওয়ার হিসাব কষছে আ.লীগ। দেশের রাজনীতিতে স্বৈরশাসক খ্যাত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অদ্বিতীয়। দীর্ঘ আড়াই দশকের রাজনীতিতে ক্ষমতার নিয়ামক এরশাদের দল জাতীয় পার্টি। ১৯৯৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনেই জাতীয় পার্টি ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও বড় ফ্যাক্টর জাতীয় পার্টি। দলটির সমর্থন বা সহযোগিতা ছাড়া কারোরই ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ থাকবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তথ্য মতে, প্রায় প্রতিটি সংসদীয় আসনে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ রিজার্ভ ভোট রয়েছে জাতীয় পার্টির। প্রায় ৫০টির মতো আসনে রয়েছে শক্ত অবস্থান। আর এককভাবে দখল রয়েছে অন্তত ৩৫টি আসনে। ওই আসনগুলোর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় এরশাদ মনোনিতরাই। রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সামনে বড় ফ্যাক্টর ওই আসনগুলো। এককভাবে কেউ ক্ষমতায় যেতে পারেনি। এরশাদের জাতীয় পার্টি যেদিকে হেলেছে, ক্ষমতার মুকুট তাদেরই হয়েছে। দীর্ঘ ২১ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে। ওই নির্বাচনে কারাগারে থেকেই এরশাদ একাই ৫টি আসনে জয়লাভ করেন। ২০০১ সালে নবম জাতীয় নির্বাচনের কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের জোট থেকে বেরিয়ে এককভাবে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি। নির্বাচনে শেষ দিকে বিএনপি-জামায়াত জোটের দিকে অনেকটা হেলে পড়েন এরশাদ। যার কারণে ওই নির্বাচনে ফলাফল ঘরে তুলতে পারেনি আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আবারো জাতীয় পার্টিকে নিয়ে মহাজোট হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সর্বশেষ দশম জাতীয় নির্বাচনের কঠিনতম বৈরি প্রতিকূল পার হতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার আসার নিয়ামক হয়ে দাঁড়ায় জাতীয় পার্টিই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ওই নির্বাচন বিএনপি-জামায়াত বর্জন করলেও জাতীয় পার্টি অংশ নেওয়ার কারণে এ নির্বাচন বৈধতা পায় এবং আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সমঝোতার ভিত্তিতে ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ না নিলে আওয়ামী লীগের পক্ষে সরকার গঠন সম্ভব হতো না। পরবর্তীতে জাতীয় পার্টিকে অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সূত্র মতে, আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও সরকার গঠনের নিয়ামক শক্তি এরশাদই। আগামী নির্বাচনেও জাতীয় পার্টিকে নিয়েই ক্ষমতায় যাওয়ার হিসাব কষছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচনে অংশ নিলেও ক্ষমতার সিঁড়ি এরশাদের জাতীয় পার্টি। যদি অংশ না নেয় তাহলেও আওয়ামী লীগ টিকে থাকতে দরকার জাতীয় পার্টিকেই। কোনো দলের পক্ষে এককভাবে ক্ষমতার স্বাদ নেওয়া সম্ভব হবে না। এককভাবে নির্বাচনে লড়ার কথা বললেও দিনশেষে নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট অংশ নিলে আবারো জাতীয় পার্টিকে নিয়ে মহাজোট গঠন করবে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে সমমনা দলগুলো নিয়ে তৃতীয় রাজনৈতিক জোট গড়ে তোলা হবে। ওই জোট ৩শ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে। যাতে প্রতিটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে বর্তমান সরকারের ন্যায় অংশগ্রহণ সরকার গঠন করবে। মূলত জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতার উপর আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রক্ষমতা অনেকটাই নির্ভরশীল। সমঝোতা ব্যর্থ হলে বিএনপি দলীয় জোট সুবিধাজনক অবস্থানে উঠে আসবে। বিএনপির নেতারা জাতীয় পার্টিকে তাদের জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা পর্দার আড়ালে জাতীয় পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন বলে জানা গেছে। বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, গণতান্ত্রিক পন্থায় ভোটের অধিকার ফেরাতে যে কারো সঙ্গে বিএনপি নির্বাচনি জোট করতে আগ্রহী। জাতীয় পার্টি দেশের তৃতীয় রাজনৈতিক দল, তাদের সঙ্গে প্রয়োজনে জোট গঠনের চেষ্টা থাকবে। আওয়ামী লীগ তাদের ব্যবহার করেছে, বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা হলে সত্যিকারের অংশীদারিত্ব পাবে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, ঢাকা-৪ আসনের সাংসদ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টি জনগণের দল, জনগণের কল্যাণে কাজ করে। জাতীয় পার্টি ছাড়া কারো পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টিকে জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায়, সে লক্ষ্যে এরশাদের নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি। জাতীয় পার্টির আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. সাহিদুর রহমান টেপা টেলিফোনে বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে জাতীয় পার্টি যেকোনো দলের সঙ্গে জোট করতে পারে। তবে কোনো স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে জোট করবে না। তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদকে ছাড়া কারো এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার সক্ষমতা নেই। জাতীয় পার্টি এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে এরশাদের নেতৃত্বে ৩শ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied