ডেস্ক রিপোর্ট: কুড়িগ্রাম শহরে পাগলা কুকুরের আতংক বিরাজ করছে। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পথচারীদের বিনা উসকানিতে কামড়াচ্ছে পাগলা কুকুর। রেহাই পাচ্ছে না শিশু থেকে বৃদ্ধরাও।
মঙ্গলবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে শতাধিক মানুষ কুকুরের কামড়ে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। রোগীর চাপে জরুরি বিভাগে বেসামাল অবস্থা বিরাজ করছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বাতেন (৩৭), কালাম (২৫), রফিকসহ (৪৫) বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোরবেলা ফজরের নামাজের সময় এবং দূরপাল্লার বাসগুলো শহরে আসার পর যাত্রীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় পাগলা কুকুরের দল।
এছাড়াও রাতে তারাবি নামাজের পর মুসল্লিদের ওপর কুকুরের হামলার ঘটনা ঘটছে। শহরের ডাকবাংলা পাড়ায় একটি কুকুর সাতজনকে আহত করে। এছাড়াও পৌরসভা, পৌরবাজার, দাদামোড়, খলিলগঞ্চ, এলজিইডিমোড়, মাঠের পাড়, রাজারহাট এলাকায় বেশি কুকুর আতংক বিরাজ করছে।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আল আমিন মাসুদ জানান, গত তিন দিনে শতাধিক রোগী পাগলা কুকুরের কামড়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এর মধ্যে একজন রোগীকে ভর্তি করা হলেও বাকিরা ভ্যাকসিন নিয়ে চলে গেছেন। হাসপাতালে গত সপ্তাহে এক হাজার ভেকসিন সরবরাহ আসায় আক্রান্তদের সেবা দিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনোয়ারুল হক প্রামাণিক সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে জানান, হাসপাতালে পর্যাপ্ত ভেকসিন মজুদ আছে।
এদিকে কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র আব্দুল জলিল জানান, কুকুর নিধনে আইনগত বিধিনিষেধ থাকায় আমাদের কিছুই করার নেই। তারপরও বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগকে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।