আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

কিশোরীগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দুনীতি; বদলির আদেশ

সোমবার, ৪ জুন ২০১৮, বিকাল ০৬:০০

বিশেষ প্রতিনিধি ৪ জুন॥ নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় দুর্নীতি প্রতিরোধে মতবিনিময় সভায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিস্তর অনিয়ম দুর্নীতি অভিযোগ নিয়ে তোলপাড়া সৃস্টি হয়েছে। এ সময় উপস্থিত সদস্যরা সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিমুক্ত থেকে জনগণের প্রাপ্য সেবা নিশ্চিতের আহ্বান জানায়। আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ওই সভার আয়োজন করে। এ দিকে ওই সভা শেষ হবার পর বিকালে জানা যায় উক্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফেনী জেলায় বদলি করা হয়েছে। উক্ত সভায় উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস,এম মেহেদী হাসান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আ.ন.ম রহুল ইসরাম, কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন-অর রশীদ, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল খালেক, সাব-রেজিষ্ট্রার তৌহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মেজবাউল হক চৌধুরী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক, বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান শেখ প্রমূখ। ওই সভায় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদুল হাসানের অনিয়ম দূর্নীতি প্রসঙ্গে কথা উঠলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকরা চাঁদা না পেয়ে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করে বলে দাবি করে। এ সময় উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান, কমিটির সদস্য বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলার রহমান, বাহাগিলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান শাহ দুলু, সমাজসেবক ফজলু মিয়া সহ সকলেই প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার এহেন কান্ডে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা উক্ত কর্মকর্তাকে সভায় জানিয়ে দেয় আপনি তিন বছর ধরে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসটিকে দুর্নীতির আখরা বানিয়েছেন। আর সাংবাদিকরা আপনার দুর্নীতির রিপোর্ট করেলেই তাদের চাঁদাবাজ বানিয়ে নিজের দোষ ঢাকার চেস্টা করেন। এ নিয়ে ওই সভায় তোলপাড় সৃস্টি হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মেহেদী হাসান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। এ দিকে সোমবার বিকালে উক্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বদলির একটি আদেশ কপি পাওয়া যায়। তাকে ফেনী জেলার সোনাগাছি উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক(প্রশাসক) বাহারুল ইসলামের ৩ জুন /২০১৮ তারিখের স্বাক্ষরিত পত্রে উক্ত কর্মকর্তাকে বদলির আদেশ দেয়া হয়। সেই সঙ্গে তাকে আগামী ১০ জুনের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এদিকে জানা যায় সম্প্রতিকালে বিভিন্ন পত্রিকায় কিশোরীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ পেলে ওই সংবাদের অভিযোগকারী এক প্রধান শিক্ষক ও সহকারী এক শিকিক্ষাকে অফিসে ডেকে এনে ভয় ভিতি দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় মাসুদুল হাসান। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগন। অভিযোগ ও অভিযোগকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত ২১ মে বিভিন্ন পত্রিকায় কিশোরীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান পুর্ব দলিরাম উপেন্দ্রনাথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিকিক্ষা ও বর্তমানে ডিমলা উপজেলার ছাতনাই বালাপাড়া বসুনিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমাতুজ জোহরাকে গত ৩০/৫/১৮ কৌশলে অফিসে ডেকে এনে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ও ওই শিকিক্ষার সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন করে পুর্ব থেকে প্রস্তুতকৃত তারিখবিহীত একটি কাগজে স্বার নেয়। সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, কাগজে উলেক থাকে যে, আমি আমার বদলীর জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে কোন টাকা দেইনি। এ ধরনের লিখিত নিয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে সেটি মেইলে সচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহ সংশিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরন করেন। কিন্তু আমি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অফিস থেকে বের হয়ে সাথে সাথে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা স্যার সহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিতভাবে জানিয়েছি। সেখানে উল্লেখ আছে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বদলির জন্য আমার কাছে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। একই অভিযোগ করেছেন বাহাগিলি ডাঙ্গাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম তিনি বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার সহ সংশিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ওসমান গনি বলেন, অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি।ওই কর্মকর্তার বিভিন্ন অভিযোগে তাকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ফেনী জেলার সোনাগাছি উপজেলায় বদলি করেছে। তিনি বদলি হলেও তার বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগ তদন্ত করা হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied