আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

গোল্ডেন বলের দৌড়ে যারা

শুক্রবার, ৮ জুন ২০১৮, বিকাল ০৫:০১

ডেস্ক: বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল পুরস্কার দেওয়ার রীতি শুরু হয়েছে ১৯৮২ বিশ্বকাপ থেকে। আসরের সেরা খেলোয়াড়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় এ পুরস্কার। রূপালি বল ও ব্রোঞ্জ বল দেওয়া হয় দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরাদের। ’ এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে মাঠে দ্যুতি ছড়িয়ে আসরের সেরা ফুটবলারের খেতাব গোল্ডেন বল লুফে নেবেন কে, এ নিয়ে চলছে হিসেব-নিকেশ। কে পেতে পারেন গোল্ডেন বল, তা নিয়ে এই প্রতিবেদন। লিওনেল মেসি এবারের বিশ্বকাপে গোল্ডেন বলের অন্যতম দাবিদার ফুটবল বিশ্বের জাদুকর লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইনরা তাকে ডাকে মেসিয়া বলে, মানে ত্রাণকর্তা। ক্লাবের হয়ে অনেক শিরোপা, ব্যক্তিগত ট্রফি পেয়েছেন এই গোলমেশিন। তবে নিজ দেশের হয়ে শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে না পেলেও গত বিশ্বকাপ ফাইনাল ও দুই কোপা আমেরিকার ফাইনালে দলকে একক দক্ষতায় টেনে নিয়ে গেছেন মেসি। রাশিয়া বিশ্বকাপে যখন অংশগ্রহণ অনিশ্চিত, তখন ত্রাণকর্তা হিসেবে মেসিই আবির্ভূত হয়ে শেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে ইকুয়েডরকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে যান। নিজে গোল করার পাশাপাশি অন্যের গোলের যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত মেসি বাছাই পর্বে ১৮ ম্যাচ খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ৫ বার। মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছেন ৩টি বিশ্বকাপ। সব মিলিয়ে ১৫ ম্যাচে গোল করেছেন ৫ গোল। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তার গোলের সংখ্যা মোট ৫টি। গত বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পেয়েছেন গোল্ডেন বল। ৫ বার ব্যালন ডি’অর বিজয়ী মেসি দেশের হয়ে ১২৪ ম্যাচে ৬৪ গোল এবং ক্লাবের হয়ে ৬৩৭ ম্যাচে ৫৫২ গোল করেছেন। এবারও যদি মেসির পায়ের জাদুতে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা যদি ফাইনালে পৌঁছাতে পারে তাহলে মেসির হাতেই হয়তো শোভা পাবে গোল্ডেন বল। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ফুটবল বিশ্বের এক বড় নাম। দীর্ঘদেহী, সুঠাম দেহের অধিকারী এ খেলোয়াড়ের গতি যে কোনো দলকেই নিমিষেই শেষ করে দিতে পারে। দলকে যদি সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারেন তাহলে গোল্ডেন বলের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠবেন রোনালদো। সেরা ফর্মে থাকা রোনালদো বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ১০ ম্যাচে ৬টিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন। ৫ বার ব্যালন ডি’অর বিজয়ী রোনালদো দেশের হয়ে ১৪৯ ম্যাচে ৮১ গোল এবং ক্লাবের হয়ে ৪৩৮ ম্যাচে ৪৫০ গোল করেছেন। ২০১৬ সালে দলকে করেছেন ইউরো চ্যাম্পিয়ন। সম্প্রতি নিজ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদকে উপহার দিয়েছেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। তাই গোল্ডেন বলের অন্যতম ভাগিদার হিসেবেই বিশ্বকাপে যাচ্ছেন এ স্ট্রাইকার। নেইমার জুনিয়র গত বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ইনজুরিতে পড়ে বিদায় না নিলে হয়তো গোল্ডেন বল প্রাপ্তির সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেইমারও থাকতেন। এবারের বিশ্বকাপেও গোল্ডেন বলের অন্যতম দাবিদার হিসেবে রাশিয়ায় পা রাখছেন বর্তমান সময়ের সেনসেশন নেইমার। বাছাইপর্বে ১৭ ম্যাচে ৭ বার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন। নেইমার দেশের হয়ে ৮৪ ম্যাচে ৫৪ গোল এবং ক্লাবের হয়ে ৪৩৯ ম্যাচে ২৬৯ গোল করেছেন। ব্রাজিলের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে নেইমারকে কেন্দ্রে রেখেই সব পরিকল্পনার ছক কষছেন কোচ তিতে। সম্প্রতি ইনজুরিতে পড়লেও বিশ্বকাপে দ্যুতি ছড়িয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি গোল্ডেন বলের লড়াইয়েও নেইমার থাকছেন এ বিষয়টি পরিষ্কার। টমাস ম্যুলার টমাস ম্যুলার জার্মানির অন্যতম ভরসার নাম। গোল্ডেন বলের অন্যতম দাবিদারের তালিকায় মুলার থাকছেন তার যোগ্যতা দিয়ে। ২০১০ সালে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে আসরের সেরা উদীয়মান তরুণ খেলোয়াড়ের মর্যাদা পাওয়ার পাশাপাশি ৬টি ম্যাচে ৫টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসাবে গোল্ডেন বুটও পেয়েছিলেন মুলার। গত বিশ্বকাপেও লৌহমানবদের শিরোপা জয়ে মুলারের অবদান ছিল। এবারেও রয়েছেন সেরা ফর্মে। তাই গোল্ডেন বল জয়ের রেসে মুলার অন্যতম দাবিদার। তিনি ক্লাব পর্যায়ে ২৯১ ম্যাচে ১১৫ গোল ও জাতীয় দলের হয়ে ৬৮ ম্যাচে ৩১ গোল করেছেন। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা জীবনের শেষ বিশ্বকাপে খেলতে নামছেন স্পেনের মাঝমাঠের সেনাপতি আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। নিজে গোল করার চেয়ে অন্যকে দিয়ে গোল করাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই মিডফিল্ডার। এটা তার চতুর্থ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ। ২০০৮ ও ২০১২ সালের ইউরো শিরোপা জয়ে ইনিয়েস্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২০১০ বিশ্বকাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিনি ম্যাচরে একমাত্র গোলটি করেন। তাকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হয়। এবারো দলের অন্যতম কাণ্ডারী হিসেবে রাশিয়া যাচ্ছেন তিনি। তারকায় ঠাসা স্পেন দলটি যদি সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে পৌঁছে সেক্ষেত্রে ইনিয়েস্তার কাছেও গোল্ডেন বল চলে যেতে পারে। তিনি ক্লাবের হয়ে ৫৫৯ ম্যাচে ৫৫ গোল এবং জাতীয় দলের হয়ে ৮০ ম্যাচে ১১ গোল করেন। আতোয়া গ্রিজম্যান এ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের অন্যতম ভরসার নাম মিডফিল্ডার কাম স্ট্রাইকার আতোয়া গ্রিজম্যান। তিনি রিয়েল সোসিয়েদাদ ও অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে ৪১০ ম্যাচে ১৬৪ গোল ও জাতীয় দলের হয়ে ৫৩ ম্যাচে ২০ গোল করেন। সম্প্রতি ভাল ফর্মেও আছেন গ্রিজম্যান। চলতি মৌসুমে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে ২৯টি গোল করেছেন। চলতি ফর্ম ধরে রাখতে পারলে গোল্ডেন বলের লড়াইয়ে গ্রিজম্যান হতে পারেন অন্যতম দাবিদার। মোহাম্মদ সালাহ মিশরের মোহাম্মদ সালাহর নাম গোল্ডেন বলের আলোচনায় আসতে পারে যদি তার দল সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে। তবে সে সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ মিশর মূলত সালাহ-নির্ভর। বিশ্বকাপের মত আসরে একজনের উপর ভর করে এগুনো সম্ভব নয়। যদিও চলতি মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে সালাহ ৪৪টি গোল করেছেন। অসংখ্য ব্যক্তিগত পুরস্কার পেয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ইনজুরির জন্য খেলতে পারেন কিনা সময়ই বলে দেবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied