শনিবার সকাল নয়টায় বিভাগীয় নগরী রংপুরে বৃষ্টিবিঘত আবহাওয়ার কারণে কালেক্টরেট ঈদগাহ্ মাঠের পরিবর্তে কেরামতিয়া জামে মসজিদে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের প্রধান এই জামাতে প্রায় কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলি অংশ নেয়।
এছাড়াও কাচারী বাজার কোর্ট জামে মসজিদে সকাল নয়টায় ঈদের জামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহম্মেদ, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জেলা প্রশাসক এনামুল হাবিবসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
এর আগে রংপুর পুলিশ লাইন মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাতে অংশ নেন বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ধর্মপ্রাণ মুসলিরা নামাজে অংশ নেন।
এছাড়াও রংপুর সদর মসজিদসহ নগরীর প্রায় আড়াইশ স্থানে ঈদগাহের পরিবর্তে মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে শুক্রবার রাত থেকে আজ ভোর পর্যন্ত বৃষ্টিবিঘিত আবহাওয়ার কারণে ঈদগাহ্ ময়দান পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি।
এদিকে ঈদের নামাজ আদায় শেষে রংপুরের মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের ঈদগাহ্ মাঠ ও পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলো মুখরিত হয় মিলন মেলায়। কাঁধে কাঁধ রেখে সব বয়সী মানুষ একে অপরের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
বুড়িরহাট ঈদগাহ্ মাঠে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের ১৩১টি স্থানসহ রংপুর জেলার প্রায় ১২’শতাধিক ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সুবিধাজনক সময়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে।
মাদক, সন্ত্রাস, নাশকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে এসব জামাতে দেশের শান্তি ও সম্মৃদ্ধি এবং মুসলিম উম্মাহর স্মপ্রীতি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।