আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি; আগাম বন্যার আশঙ্কা

মঙ্গলবার, ১৯ জুন ২০১৮, রাত ০৮:২৪

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে লালমনিরহাটের ডালিয়ার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে নতুন ভাবে বিপদসীমার পয়েন্ট নির্ধারন করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। মঙ্গলবার সারাদিনে তিস্তা নদীর প্রবাহ বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি বৃদ্ধির কারনে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জল কপাট খুলে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্যার আশঙ্কাও করছে তিস্তা অববাহিকার কয়েক লাখ মানুষজন। এদিকে পলিতে ভরাট হয়ে যাওয়া তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারনে নীলফামারীর ডিমলা, জলঢাকা উপজেলা ও লালমনিরহাট জেলার চর বেষ্টিত গ্রামে নদীর পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। তিস্তা অববাহিকার জনপ্রতিনিধিরা জানায় তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি মানেই উজানে ভারী বৃদ্ধিপাত ও ভারতের গজলডোবা ব্যারাজের জলকপাট খুলে দেয়া। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন পুর্বাভাস ও সর্তকীকেন্দ্র তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ডালিয়ার তিস্তা ব্যারাজ বাইশপুকুর পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫২ দশমিক ২০ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা সকাল ৯টা থেকে বিকেল পর্যন্ত আরও ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। সুত্র মতে গতকাল রবিবার এই পয়েন্টে সকাল ৬টায় ৫২ দশমিক ১০ মিটার ও গত শনিবার ৫১ দশমিক ৯৫ মিটারে পানি প্রবাহ ছিল। যা গত তিন দিনে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ সেন্টিমিটার। এ ছাড়া মঙ্গলবার ডালিয়া পয়েন্টে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ মিলিমিটার। এলাকাবাসী জানায়, চরগ্রামের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ না করলেও পলিতে ভরে থাকা তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেই পানি উপচে এলাকা প্লাবিত করে দেয়। ফলে ঘর বাড়ি ছেড়ে বাঁধে বা উচু স্থানে আশ্রয় নিতে হয়। বর্ষাকাল শুরু হলে উজানের ঢলে তিস্তা ভাসিয়ে নিয়ে যায় সব কিছু। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম জানান, বর্ষাকালে নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বন্যা দেখা দিবে। আমরা সর্বদা সর্তকাবস্থায় রয়েছি।  এবার নতুন করে তিস্তা নদীর বিপদ সীমার পরিমাপ (গেজ রিডার) বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ নিয়ে দুই দফায় বিপদ সীমার পরিমাপ বৃদ্ধি করা হলো ৩৫ সেন্টিমিটার। পূর্বের পরিমাপের চেয়ে এবার ২০ সেন্টিমিটার বেশী বৃদ্ধি করা হয়। এর আগে পরিমাপটির প্রথম দফায় ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সুত্র মতে, উজানের গজলডোবা ব্যারেজ নির্মাণের ফলে তিস্তা নদীর প্রবাহ কমে যাওয়ায় পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। ফলে উজানের সামান্য ঢলেই তিস্তা নদী বিপদসীমা অতিক্রম করে থাকে। অথচ নদীর চর ডুবে যায় না। তাই তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে সর্বপ্রথম তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার পরিমাপ (গেজ রিডার) ছিল ৫২ দশমিক ২৫ মিটার। যা ২০০৭ সালের ৭ জুলাই ৫২ দশমিক ২৫ মিটার পরিবর্তন করে তা ৫২ দশমিক ৪০ মিটার বৃদ্ধি করা হয়। এরপরেও উজানের নাই পানিতেই বাংলাদেশ অংশের তিস্তা বারবার বিপদসীমা অতিক্রম করতে থাকে। ২০১৭ সালে আগষ্ট মাসে ভারতের গজলডোবার জলকপাট উম্মুক্ত করে দেয়া সহ ভারি বর্ষন ও উজানের ঢলে ৯৮ বছরের মধ্যে পলিতে ভরাট তিস্তা অববাহিকায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। সে সময় নদীর পানি বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ মিটারের অতিক্রম করে ৫৩ দশমিক ০৫ মিটার অর্থ্যাৎ ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। তাই তিস্তা নদীর বিপদসীমা পরিমাপ সংখ্যাটি দ্বিতীয় দফায় পরিবর্তন করে তা বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করা হয়। ওই প্রস্তাবে এবার পরিমাপের সংখ্যা করা হয়েছে ৫২.৬০ মিটার। যা গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর হতে কার্যকারিতা করা হয় বলে জানান ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম।

মন্তব্য করুন


 

Link copied