আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার        জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে      

 width=
 

ঈদ উপলক্ষে পঞ্চগড় জেলায় মাদকে সয়লাব

বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৩, রাত ১১:১১

মোঃ ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি : পঞ্চগড় জেলার যুব সমাজ কঠিন এক ভয়াবহ অন্ধকারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পঞ্চগড়ের সিমান্ত দিয়ে আসছে মরণ বিষ মাদক আর এ বিষ ঝলসে দিচ্ছে আমাদের তারুণ্যকে। মাদক নিয়ে ভাবতে গেলে প্রতিটি পরিবারকে আগে নিজের পরিবারের সদস্যদের সচেতন রাখা প্রয়োজন। ভাবুন মাদকাসক্ত আপনার এলাকার এক জন সদস্য নিয়ে ভেবে দেখি, কখন ছেলেটির আচরণ বদলে যেতে শুরু করে। আপনার সন্তান যদি তেমন বদলে যাওয়া আচরণে শিকার হয় তবে কী? ভাবতে হবে সে মাদকাসক্ত ভাবা যায়। নিজের রক্ত পানি করা সম্পদ দিয়ে, যে সন্তান এমন বিপদে, কেমন করে একজন মাদকাসক্ত হয়। কেথায় পাওয়া যায় মাদক। প্রকাশ্যে নাকি মাদক কেনাবেচার হাট বসে, বিষয়টি একে বারে পরিষ্কার। আলু, পটলের মতো খোলা যায়গায় এক দল লোক বসে প্রকাশ্যে চাল, সবজি নয় কেনা বেচা করে মদ, গাজা থেকে শুরু করে ইয়াবা, হিরোইন পর্যন্ত।

পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া থেকে পঞ্চগড়, আটোয়ারী, বোদা, দেবীগঞ্জ পর্যন্ত প্রশাসনের জানা আছে প্রকাশ্যে মাদক কেনা বেচার খবর। আর তা যদি সত্যি হয় তবে কেন তা বন্ধ হচ্ছে না। নতুন করে তো শিখিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। মাদক কেমন করে একটি সমাজ কে ধ্বংস করে দিতে পারে। আর কেউ যদি রুখে দাড়ায় কী হয় তার পরিণতি? জানা আছে শক্তিশালী মাফিয়া চক্র নাকি নিয়ন্ত্রন করছে, সারা দেশে মাদক ব্যবসা। আসলে কী তাই?

পঞ্চগড় জেলার মাদক ব্যবসার খবর সকলের জানা আছে । তুলে ধরতেহবে কিন্তু না কোন কিন্তু-না সব বাধা ভেঙ্গে বলতেই হবে কারণ, আমাদের যুব সমাজ কঠিন এক ভয়াবহ অন্ধকারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। রুখে দাড়াতে হবে পঞ্চগড়ের প্রতিটি মানুষকে। মাদক, মাদক এই শব্দটি এখন শুধুই শুনা যাচ্ছে ধ্বংশ, ধ্বংশ।

মাদকাসক্ত শহরের তরুনদের যাদের টাকা আছে যোগাযোগ নানা মাধ্যমে তাদের জানা আছে মাদক যোগারের উপায় আর কেউ কেউ তাদের জন্য মদ, গাজা, ফেনসিডিল এবং হিরোইন নিয়ে আসে আর জমে উঠে ব্যবসা। কিন্তু কেমন আছে আপনার এলাকা আপনার শহর আপনার চোখের আড়ালে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিল মদ, গাজা থেকে শুরু করে ইয়াবা, হিরোইন পর্যন্ত।

পঞ্চগড় অন্য জেলার মতোই এখানে বছরে কয়েক বার জেলা আইনশৃংখলা মিটিংএ এ বিষয় গুলো উঠে এলেও আজো পর্যন্ত কোন কার্যকরীতা হয়নি। নির্বাচিত সংসদ সদস্য এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এমন কি সাংবাদিক মহল প্রশাসনকে এ বিষয়ে বারবার অবহিত করলেও কোন লাভ হয়নি। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা ঘাটে মাদক কেনাবেচা দালাল রয়েছে। বিষয়টি একে বারে পরিষ্কার নানা পথে আসছে মাদক। নিরাপদ রোড সিমান্ত সেই সিমান্তের চৌকির কথা সেখানে শক্ত কাঁটাতারে আটকে থাকে ফেলানির শরীর তবে কোন পথে আসে মাদক? সিমান্তের এ পারে বিজিবি ওপারে বিএসএফ অস্ত্র কড়া পাহারায় সিমান্ত। বিভিন্ন উপায়ে যে ভাবে গরু পারাপার করে সে ভাবেই আরো সহজে পার হয়ে আসছে মাদক। বাহ্ ফেলানিরা শক্ত কাটা তারে ঝুলে থাকছে আর সিমান্ত দিয়ে অবাধে পার হয়ে আসছে মাদক। সিমান্তের অর্ধ শতক স্পট দিয়ে পার হয়ে আসছে মাদক। কোন বাধা ছাড়াই সিমান্ত দিয়ে আসছে মরণ বিষ মাদক আর এ বিষ ঝলসে দিচ্ছে আমাদের তারুন্নকে। এদের চক্র এতটাই কি শক্তিশালী যে প্রশাসন নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না। মাদকে সয়লাব যখন শহর বন্দর তখন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এর কর্মকর্তারা প্রায় ঘুমন্ত অবস্থায়।

মন্তব্য করুন


 

Link copied