আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

তিস্তায় বাড়ছে পানি, বেড়েছে ভাঙন

মঙ্গলবার, ৩ জুলাই ২০১৮, দুপুর ০২:২১

ডেস্ক রিপোর্ট: গত কয়েকদিনে অস্বাভাবিক হারে পানি বেড়েছে তিস্তা নদীতে। আর হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে নদীর গতিপথে এসেছে পরিবর্তন। এতে করে তীব্র হচ্ছে নদী ভাঙন। কোথাও কোথাও বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা অববাহিকায় ২ মসজিদসহ ৩০ পরিবারের বাড়ি-ঘর বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভেঙে গেছে ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তাঘাট। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এরই মধ্যে স্থানীয়রা গাছ ও বাঁশ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নে সরেজমিনে দেখা গেছে, পুরনো শংকরদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন হুমকির মুখে। নদী ভাঙনের কালো থাবা হাত বাড়িয়েছে স্কুলটির দিকে। ভাঙ্ন দূরত্ব কমতে কমতে এখন স্কুলটি নদীর মুখে। আর মাত্র ২০ ফুট অংশ ভাঙলেই তিস্তায় তলিয়ে যাবে স্কুলটি। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে নির্মিত দ্বিতল ভবনের এই স্কুলে বর্তমানে প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই স্কুলে যাওয়া আসা করছে। এরই মধ্যে শংকরদহ বিদ্যালয়ের পাশের মসজিদটি তিস্তায় বিলীন হয়ে গেছে। সাউদপাড়া মাদরাসায় যাওয়ার রাস্তা, আনন্দোলোক বিদ্যালয় সংযোগ সড়ক, শংকরদহ চরের সংযোগ সড়কে জোড়া ব্রিজ, মহিপুর-কাকিনা সড়কের শংকরদহ স্কুলের পাশে ব্রিজের সংযোগ সড়ক পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। এতে বিশেষ করে চরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখানকার অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এখন ভয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এসব এলাকার লোকজন আতঙ্কে দিন-রাত কাটাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় স্থানীয়রা বাঁশ, গাছ ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, লক্ষীটারী ও কোলকোন্দ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা চরের আনোয়ার, গুটলু, ফুলু, দয়াল, বল্টু ও লক্ষীটারী ইউনিয়নের পূর্ব ইচলীর সেকেন্দার, সইয়ুদ, মাজেদা, আমিন, ওলিয়ার, আনোয়ার, ছুপিয়া, জয়নাল, বাবু, সন্তোষ, হাককু, মতিয়ার, ছবুর, নায়েব, ওয়ারেছ, দুলু, ইলিয়াছ, বারেক, রজব, মতিনসহ ৩০ পরিবারের বাড়ি-ঘর, গাছপালা, জমি বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া বিনবিনায় জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল আনন্দলোক বিদ্যালয় ও সাউদপাড়া ইসলামিয়া আলীম মাদরাসাটি এখনো ভাঙন শঙ্কায় রয়েছে। সাউদপাড়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এখন বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে কোনো রকমে চলাচল করছে। ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ রোকনউজ্জামান জানান, পানির তোড়ে সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় কয়েক দিন ধরে মাদরাসায় আসা-যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষসহ এলাকাবাসীর উদ্যোগে গত রোববার ভাঙা সড়কে বাঁশ টাঙিয়ে কোনো রকমে চলাচল করতে হচ্ছে। অব্যাহত তিস্তার ভাঙনে বৃহৎ এই মাদরাসাটিও হুমকির মুখে পড়েছে। নোহালী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, চর নোহালী আশ্রয়ণ কেন্দ্র হুমকির মুখে। জরুরি ভিত্তিতে কাজ না করলে আশ্রয়ণ কেন্দ্রটি নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। অন্যদিকে লক্ষীটারী ইউপি চেয়ারম্যান অব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, স্কুলের ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী জানান, বরাদ্দের অভাবে তিস্তা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থান মেরামত করা সম্ভব হয়নি। গত বছর বন্যায় তিস্তা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ২০টি ও ক্যানেল বাঁধের পাঁচটি স্থান পানির তোড়ে ভেঙে গিয়েছিল। বন্যার পর পরই নদী ড্রেজিং, বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা মেরামতের জন্য ১৬৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। তবে এখনো কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের বেশ কটি স্থান এখন পর্যন্ত মেরামত করা সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied