ডেস্ক: রাশিয়ায় চলছে ২১ তম ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল। তাই বিশ্ববাসীর মনোযোগ এখন রাশিয়ার দিকে। নানা কারণে আগে থেকেই রাশিয়া বিখ্যাত। ভদকা থেকে শুরু করে ক্লাসিক্যাল অপেরা–রাশিয়ার অনেক কিছুই বিশ্বজুড়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছে
মাত্রিওশকা পুতুল: রাশিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত স্যুভেনির এই পুতুল৷ কিষাণীর সাজে সাজানো এই পুতুলের মধ্যে একই ধরনের ছোট আকৃতির বেশ কয়েকটি পুতুল থাকে৷ কাঠের তৈরি এই পুতুলের আবিষ্কারক সের্গেই মালিউটিন৷ ১৮৯৬ সালে স্ত্রীকে নিয়ে জাপান ভ্রমণের সময় ‘ডারুমা’ বুদ্ধের পুতুল দেখে তিনি মাত্রিওশকা পুতুল তৈরির অনুপ্রেরণা পান৷
ভদকা: মদ্যপানে রুশরা বেশ পারদর্শী৷ এটা আপনারা আগেও শুনেছেন নিশ্চয়ই৷ কিন্তু তা পুরোপুরি সঠিক নয়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, সবচেয়ে বেশি অ্যালকোহল গ্রহণকারী দেশের মধ্যে রাশিয়া আছে ১৬ নম্বরে৷ বছরে তারা মাথাপিছু ১১ দশমিক ৭ লিটার অ্যালকোহল গ্রহণ করেন৷ ১৩ দশমিক ৪ লিটার অ্যালকোহল নিয়ে জার্মানি আছে তালিকার ৫ নম্বরে৷ শীর্ষে আছে মোলডোভা৷ রাশিয়ার প্রায় অর্ধেক মানুষ মদ্যপানই করেন না৷
কুইজিন: ফ্রান্স ও ইটালির তুলনায় রাশিয়া বিশাল এক দেশ৷ ফলে এর নানা প্রান্ত জুড়ে ছড়িয়ে আছে মজার সব খাবার৷ কিন্তু অনেক বৈচিত্র্যের কারণে জাতীয় কোনো খাবার নেই রাশিয়ায়৷ অতীতে মৌসুমি ফসলের ওপর কৃষকদের খাবার নির্ভর করতো৷ অন্যদিকে অভিজাতরা খেতেন ইউরোপীয় খাবার৷ এখন রাশিয়ার খাবারের ধরনে পরিবর্তন এসেছে৷ ‘হেরিং আন্ডার ফার কোট’ এসেছে নরওয়ের ‘সিল্ডেসালাট’ থেকে৷
ব্যালে ড্যান্স: রুশ ব্যালে ড্যান্স খুব বিখ্যাত হলেও, মূলত তা এসেছে অষ্টাদশ শতকে ফ্রান্স থেকে৷ ফরাসি কোরিওগ্রাফার শার্ল ডিডলোঁ এবং পরবর্তীতে মারিউস পাটিপার সহায়তায় রাশিয়ায় এই নাচের বিকাশ ঘটে৷ রুশ ব্যালে স্কুলের প্রতিষ্ঠাও তাদের হাত ধরেই৷
চিত্রকর্ম: ইলিয়া রেপিন, ইভান ক্রামস্কোই, ইভান শিশকিন এবং অন্যান্য বিখ্যাত শিল্পীরা রাশিয়ায় এক ধরনের বিপ্লব শুরু করেন৷ রুশ চিত্রকর্ম নিয়ে তাঁদের কাজ পশ্চিম ইউরোপে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে৷ ইভান শিশকিনের ‘মর্নিং ইন আ পাইন ফরেস্ট’ রুশ রিয়েলিস্ট শিল্পের ইতিহাসের অন্যতম সেরা হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷
সিনেমা: সের্গেই আইনস্টাইন এবং পরে আন্দ্রেই তারকোভস্কিকে সিনেমা জগতে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে৷ নির্বাক সিনেমা ব্যাটেলশিপ পটেমকিন বিশ্বজুড়ে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের এখনও প্রভাবিত চলেছে৷
সাহিত্য: পুশকিন, গোগল, দস্তয়েভস্কি, টলস্টয়৷ এই নামগুলোর পর আর রুশ সাহিত্য সম্পর্কে কিছু বলার থাকে? তবে ইউরোপের সাথে রুশ সাহিত্যের যোগাযোগ ঘনিষ্ট৷ এমনকি পুশকিন চিঠি লিখতেন ফরাসি ভাষায়, গোগল ১০ বছর কাটিয়েছেন ইটালিতে এবং দস্তয়েভস্কি ও টলস্টয়ও বেশ ভালোভাবেই যোগাযোগ রাখতেন পশ্চিমা সংস্কৃতির সাথে৷