আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা

শুক্রবার, ৬ জুলাই ২০১৮, বিকাল ০৬:০৪

মমিনুল ইসলাম রিপন: উজানের পাহাড়ী ঢলে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ৮ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।  শুক্রবার পানি বেড়ে বিপদ সীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি ক্রমান্বয়ে বাড়ার কারণে গঙ্গাচড়ার নোহালী ইউনিয়নের চর নোহালী, বাগডোহরা, মীনা বাজার, কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনার চর, মটুকপুর, চিলাখাল, লহ্মীটারী ইউনিয়নের চর শংকরদহ, জয়রাম ওঝা, চর ইচলী, গজঘন্টার ছালাপাক, রমাকান্ত, মর্ণেয়া ইউনিয়নের ছোট রুপাই, রামদেব, কামদেব, আলমবিদিতরের হাজীপাড়া, ব্যাংকপাড়ার প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে। বাড়ির বাহিরে বের হতে না পারায় মানুষজন অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। তারা তাকিয়ে আছেন সরকারী সাহায্যের দিকে। এছাড়া নদী ভাঙ্গনের কারণে নতুন করে প্রায় শতাধিক ঘর-বাড়ি সরিয়ে রাস্তায় নিয়ে এসেছে। পানিবন্দী নদীর তীরবর্তী লোকজন আতঙ্কে দিন-রাত কাটাচ্ছে। এদিকে শংকরদহের আশ্রয়ণ প্রকল্পের চারপাশে পানি উঠায় সেখানে বসবাস করা মানুষজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নদীর পানি আরও বাড়লে প্রকল্প এলাকায় পানি ঢুকে যাবে বলে জানান এলাকাবাসী। এছাড়া তিস্তার পানির প্রবল স্রোতে মহিপুর থেকে লালমনিরহাট যাওয়ায় ৪৮ মিটার ব্রীজের সংযোগ সড়ক ভাঙ্গতে শুরু করেছে। এলাকাবাসী সড়ক টিকিয়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার দুপুরে নদী ভাঙ্গন ও পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন করেছেন গঙ্গাচড়ার সংসদ সদস্য, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা।  তিনি নৌকাযোগে কোলকোন্দ, লহ্মীটারী ইউনিয়নের দূর্গম চরসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন স্থানীয় মানুষের খোঁজ-খবর নেন। শংকরদহ চরের সংযোগ সড়কে জোড়া ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করে সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্রীজ ও সড়ক রক্ষার কাজ দেখেন। পুরাতন শংকদহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকা পরিদর্শন শেষে জানান, বন্যার কথা শুনে আমরা বেশ কয়েকটি জায়গায় গিয়েছি। ডালিয়া প্রজেক্ট যেখানে রয়েছে সেখান থেকে আমরা জানতে পেরেছি বিপদ সীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এটি ভারতের গজল ডোবা বাঁধের সব গেট খুলে দেয়ার কারণে এখানে পানি বেড়ে গেছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কিছু মানুষ ভাঙ্গনের কারণে বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিয়েছে। পানি যদি এভাবে বাড়তে থাকে তবে আমরা শুকনা খাবার সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। বিশেষ বরাদ্দ রেডি আছে, ঢাকায় বললে বিশেষ বরাদ্দ চলে আসবে। বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা জিও ব্যাগ, পাইলিং করে নদীর পানির প্রবাহ সোজা করে দেয়ার চেষ্টা করছি। এতে করে ভাঙ্গন কিছুটা রোধ হবে। প্রতিমন্ত্রীর পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব, গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ এনামুল কবির, জাতীয় পার্টির গঙ্গাচড়া সভাপতি শামসুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির নেতা আব্দুর রাজ্জাক, মমিনুল ইসলাম রিপনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied