আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

একটি আসনও যেন হারাতে না হয়: প্রধানমন্ত্রী

শনিবার, ৭ জুলাই ২০১৮, বিকাল ০৭:০২

 ডেস্ক: আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় নিশ্চিত করতে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনে নৌকাকে জয়ী করতে হবে। আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসতে না পারলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ হবে। আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির ওপর আবারও আক্রমণ হবে। বাংলাদেশকে তারা আদর্শচ্যুত করবে। তাই মনে রাখতে হবে, নৌকা যেন না হারে। একটি আসনও যেন হারাতে না হয়। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের তৃতীয় পর্যায়ের বিশেষ বর্ধিত সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। গত নির্বাচন বানচালের নামে বিএনপি-জামায়াত জোটের নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশে এ ধরনের অরাজকতা যেন না হয়, সেটাই চাই। যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আর কেউই করতে পারবে না। কারণ বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী, স্বাধীনতায়ই বিশ্বাস করে না। তারা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনও করবে না। আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার ত্যাগের আদর্শে রাজনীতি করতে হবে। তিনি যে আকাঙ্খা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই আকাঙ্খা পূরণ করতে হবে। এজন্য দলকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর দায়িত্ব পড়েছে, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের। আওয়ামী লীগ দেশকে ক্ষুধামুক্ত ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। এখন দারিদ্র্যমুক্ত ও মানুষের দারিদ্র্যবিমোচনও করবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে চলেছে। গত ২৩ জুন শুরু হওয়া তৃণমূল নেতাদের নিয়ে বিশেষ বর্ধিত সভার ধারাবাহিকতায় শনিবারের এই বর্ধিত সভা আয়োজিত হয়। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা, খুলনা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অধীন প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান এবং মহানগরের অধীন দলের প্রতিটি ওয়ার্ড সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় কাউন্সিলররা যোগ দেন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদ নেতারা এবং জেলা ও মহানগর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কয়েক হাজার তৃণমূল নেতার উপস্থিতিতে সভাস্থলে উৎসবমুখর পরিবেশের সূচনা ঘটে। এর আগে ৩০ জুনের দ্বিতীয় পর্যায়ের বিশেষ বর্ধিত সভায় দলের রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের ইউনিয়ন-ওয়ার্ড নেতারা যোগ দেন। আর ২৩ জুনের প্রথম পর্যায়ের বর্ধিত সভায় আট বিভাগের মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌর নেতারা উপস্থিত হয়েছিলেন। বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক ও মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন- সংগ্রামে আওয়ামী লীগের গৌরবজ্জ্বল ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হীরক খণ্ডকে যতই কাটা হোক, ততই এটি উজ্জ্বল হয়, দ্যুতি ছড়ায়। আওয়ামী লীগও তেমনি। এই দলকে যতবার ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে, ততবারই আরও শক্তিশালী হয়েছে। নেতাকর্মীরা আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন। এই নির্বাচন অনেক কঠিন হবে। এটি মনে রেখেই সবাইকে কাজ করতে হবে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের কাছে বারবার নৌকায় ভোট চাইতে হবে। বারবার সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরতে হবে। মানুষকে বলতে হবে, নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ সুফল পেয়েছে, আগামীতেও পাবে। বলতে হবে, একমাত্র আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। আওয়ামী লীগ এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন- এটিও মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে এটি মনে হতে পারে, সারাদেশে তো জিতবোই, একটি আসনে হারলে কী হবে। ২০০১ সালে এমনটি হয়েছিল। সেবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। তাই মনে রাখতে হবে, একটি আসনও হারানো যাবে না। একটি আসনও হারালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না, সরকার গঠন করতে পারবে না। তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই মনোনয়ন দেওয়ার সময় তৃণমূলের নেতাদের মতামত নেওয়া হবে। তবে তিনি (শেখ হাসিনা) নিজেও প্রার্থিতার বিষয়ে জরিপ করছেন। এখন পর্যন্ত তিনদফা জরিপ শেষ হয়েছে। এসব জরিপের রিপোর্ট ও তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে দলীয় প্রার্থী ঠিক করা হবে। তবে যাকেই প্রার্থী করা হোক না, নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীদের তার পক্ষেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচনেও জোট-মহাজোট থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ চায় না সবাই তার বিপক্ষে চলে যাক। তাই জোটের প্রশ্নে অনেক আসনে ছাড় দিতে হতে পারে। যিনিই প্রার্থী হবেন, তার পক্ষেই সবাই কাজ করতে হবে। দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ও কারাগারে যাওয়ার কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এতিমখানার টাকা এনেও খালেদা জিয়া কীভাবে নয়ছয় করেছেন! সামান্য এতিমের টাকার লোভও সামলাতে পারেননি! তিনি দুর্নীতি করেছেন, শাস্তি হয়েছে, জেলও হয়েছে। এখানে তো সরকারের কোনো দায় নেই। ১০ বছর ধরে মামলা চলেছে। আর বিএনপির এত এত জাঁদরেল আইনজীবী রয়েছেন, তারাও তো প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলেন খালেদা জিয়া দুর্নীতি করেননি। তিনি বলেন, দুর্নীতি করে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই খালেদা জিয়া অসুস্থতার ভান করে আদালতে হাজিরা দেননি। তার আরও দুর্নীতি রয়েছে। আমেরিকার এফবিআই বসে আছে এই সাক্ষী দেওয়ার জন্য যে তিনি দুর্নীতি করেছেন। এর আগে আমেরিকার ফেডারেল কোর্টেও তার ছেলেদের দুর্নীতি প্রমাণ হয়েছে, সাজাও হয়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied