ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষার সামগ্রিক মানোন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি কুদরত-ই-খুদা কমিশন গঠন করেছিলেন। কিন্তু পচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এর পর শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব দিক থেকে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়ায়। পচাত্তরের পর অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা শিক্ষার মানোন্নয়নে কোনো কাজ করে নি। তারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়।
প্রধানমন্ত্রী আজ তাঁর নিজ কার্যালয়ে সৃজনশীল মেধা অণ্বেষন এর মেধাবীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মেধাবীদের পুরস্কৃত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রাম বাংলায় সোনার টুকরো ছড়িয়ে আছে। আমরা সেই সোনার টুকরোগুলো খুঁজে বের করছি। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছি।
মেধাবীদের মেধা কাজে লাগানোর সুযোগ করে দেওয়াটাই তাঁর সরকারের কাজ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেধাবীদের দেশে বিদেশে কাজের সুযোগ করে দেওয়া হবে। যাতে তারা নিজেদের মেধা মননের প্রতিফলন ঘটাতে পারেন।
মেধা অণ্বেষণ সাময়িকিতে ক্ষুদে শিক্ষার্থী সিরাতুল মোস্তাকিমের লেখা ‘ইমপরটেন্স অব ইথিকস অ্যান্ড মোরালিটি ইন আওয়ার লাইফ’ আর্টিকেলের ভুয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, সারাবিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মেধাবী হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। দেশে বিদেশে বহু জায়গায় গিয়ে আমার এ অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি এইটুকু আশা করবো যে, আমাদের ছাত্ররা মন দিয়ে পড়ালেখা করবে। দেশের জন্য কাজ করবে।