আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

রংপুরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ সিগারেটের রমরমা ব্যবসা

শুক্রবার, ১৩ জুলাই ২০১৮, রাত ১০:০৬

মমিনুল ইসলাম রিপন, স্টাফ রিপোর্টার: রংপুরের বাজারে এখন প্রতিটি সিগারেটের মূল্য মাত্র এক টাকা। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে ১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সিগারেট।  সম্প্রতি বাজেটে সিগারেটের সর্বনিম্ন দাম প্রতি শলাকা ৩ টাকা থেকে ৪ টাকা করা হয়। কিন্তু রংপুরের বাজারে সিগারেট পাওয়া যাচ্ছে মাত্র এক টাকা মূল্যে। জেলার বুড়ির হাট, সাতমাথা, নব্দীবাজার, পাগলাপীর, কাউনিয়া, হারাগাছ, বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, টার্মিনালসহ সবখানে মিলছে নকল ব্যান্ডরোল লাগানো এক টাকা দামের সিগারেট। ফলে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। সূত্রমতে, দেশের কয়েক লাখ তামাক চাষী ও বিড়ি শ্রমিকদের বিকল্প কর্ম সংস্থানের কথা চিন্তা করে সরকার তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ২০৪০ সাল পর্যন্ত সময় নির্ধারন করেছে। এ লক্ষকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতি বছর সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যাতে করে মানুষ ধীরে ধীরে তামাক থেকে মুক্ত হতে পারে। গত ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে সর্বনিম্ন সিগারেটের দাম ছিল প্রতি প্যাকেট ২৭ টাকা। এই ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে তা বৃদ্ধি করে প্রতি প্যাকেট সর্বনিম্ন ৩৫ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। ফলে প্রতি শলাকা সিগারেটের মূল্য ৩ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা হয়। সরকার নির্ধারিত মূল্যের কমমূল্যে সিগারেট বিক্রি করা হলে তা হবে আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সূত্রে জানা যায়,সিগারেটের মূল্যের অধিকাংশ অর্থই সরকারের কোষাগারে জমা হয়।  ৩৫ টাকা মূল্যের প্রতি প্যাকেট সিগারেটের ৭১ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২৫ টাকা সিগারেট বিক্রির পূর্বেই সরকারকে পরিশোধ করতে হয়। এই রাজস্ব আয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানীকে প্রতিটি সিগারেট প্যাকেটের গায়ে ট্যাক্স স্ট্যাম্প/ব্যান্ডরোল সংযুক্ত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই ট্যাক্স স্ট্যাম্প বা ব্যান্ডরোল ছাড়া কোন সিগারেট বাজারে ছাড়া হলে সেটা আইনত অবৈধ। কিন্তু তা মানছে না সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গুলো। জানা গেছে, প্রতি প্যাকেট সিগারেটে সরকারকেই দিতে হয় প্রায় পঁচিশ টাকা তাহলে কিভাবে বাজারে ১০টাকা প্যাকেটে সিগারেট বিক্রি হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, বাজারে যে সকল সিগারেট সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে সে সকল সিগারেটের প্যাকেটে নকল ট্যাক্স স্ট্যাম্প/ব্যান্ডরোল ব্যবহার করা হচ্ছে। ট্যাক্স স্ট্যাম্প/ব্যান্ডরোল পুনঃব্যবহার করা ও নকলভাবে উৎপাদন করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ লিঃ এই ট্যাক্স স্ট্যাম্প উৎপাদনকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান। কেউ যদি অন্য কোথাও ট্যাক্সস্ট্যাম্প উৎপাদন করে থাকে সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং নকল টাকা তৈরির মতোই বড় অপরাধ। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছর বছর সিগারেট এর মূল্য বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত নিম্ন স্তরের অবৈধ সিগারেটের প্রসার বাড়ছে । যেখানে প্রতি প্যাকেট সিগারেটে সরকারকে দিতে হয় ২৫ টাকা সেখানে খুচরা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০-১২ টাকায়। পাইকারী এবং খুচরা বিক্রেতারা বেশি মুনাফার আশায় এসব অবৈধ সিগারেটের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে নানান জাতের অবৈধ ব্র্যান্ডের সিগারেট। যার মাঝে অন্যতম ব্র্যান্ডগুলো হলো- সেনর গোল্ড নং ১, সেনর গোল্ড স্পেশাল, সেনর গোল্ড এসআর, সুপার সেনর গোল্ড, ফ্রেশ গোল্ড ইত্যাদি। এ সকল সিগারেটের প্যাকেটে নকল/পুনঃ ব্যবহৃত ট্যাক্স স্ট্যাম্প সংযুক্ত। অবৈধ প্রস্তুতকারকরা বিভিন্ন পাইকারী বাজার ও আড়ৎদারদের মাধ্যমে এসব সিগারেট দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছড়িয়ে দিচ্ছে। বড় বড় পাইকারী দোকানদাররা এসব অবৈধ সিগারেট তাদের গুদামে সংরক্ষন করে রাখেন এবং বিভিন্ন সময়ে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এসব সিগারেট বিক্রি করেন। বৈধ সিগারেটের থেকে কমমূল্যের হওয়ার ফলে ভোক্তাগণ এসব অবৈধ সিগারেটের দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যেভাবে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত নকল সিগারেট বিক্রয় করে আসছেন তাতে বাজারের স্বাভাবিক পরিস্থিতি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সরেজমিনে বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, যে সকল যায়গায় অভিযান চলে সেখানে বিক্রেতারা সাময়িকভাবে নকল সিগারেট বিক্রি বন্ধ করে দেয়। এরপর সপ্তাখানেক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে। সর্বোচ্চ ২-৩ সাপ্তাহের মধ্যে তারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠে এবং পুরোদমে আবারও নকল সিগারেট বিক্রয় শুরু করে। নকল সিগারেট উৎপাদনকারীরা জব্দকৃত সিগারেটের সমপরিমাণ সিগারেট বিক্রেতাদেরকে বিনামূল্যে সরবরাহ করে। যে কারণে বিক্রেতারা নির্ভয়ে এসব অবৈধ সিগারেট বিক্রি করা শুরু করে। এসকল অতি মুনাফালোভী অবৈধ ব্যবসায়ীদের দমন করা না গেলে সরকার ও বৈধ ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য উন্নোয়নে সরকারের লক্ষ্যমাত্রাও ব্যহত হবে বলে মনে করেন সচেতন নাগরিকরা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied