ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রশংসা করে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি সবার জন্য অনুপ্রেরণার। জনগণ এবং এ অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে চমৎকার সহযোগিতা রয়েছে। যার প্রতি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। ঘৃণা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসের মতাদর্শ থেকে জনগণ ও সমাজকে রক্ষার অভিন্ন অঙ্গীকার থেকে এ সহযোগিতার উৎপত্তি। বাংলাদেশের এ যুদ্ধে ভারত পাশে আছে।
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদায় শনিবার দুপুরে 'বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ভবন এবং আইটি সেন্টার'-এর উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি, পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান, ভারতের বল্লবভাই প্যাটেল ন্যাশনাল পুলিশ একাডেমির পরিচালক রানী ডলি বর্মন প্রমুখ।
রাজনাথ সিং আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক একটি উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ সম্পর্কের বর্তমান অবস্থাকে 'সোনালি অধ্যায়' বা 'স্বর্ণযুগ' বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, অভিন্ন ইতিহাস, ভাষা, সংস্কৃতি, পরিবার ও আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ এক বিশেষ সম্পর্ক বহন করে বাংলাদেশ-ভারত। উভয় দেশ একটি সমন্বিত বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়াই করেছে, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে পারস্পরিক আস্থার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আমাদের সৈনিকরা একসঙ্গে রক্ত বিসর্জন দিয়েছে। এই বন্ধন ভ্রাতৃত্বের চিরন্তন এবং সময়ের পরীক্ষায় অটল থাকবে।
রাজনাথ সিং বলেন, উভয় দেশ অস্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাসী শক্তি মোকাবেলায় সব সময় হাতে হাত মিলিয়ে চলেছে। আমাদের অংশীদারিত্ব জনগণের সমৃদ্ধির পাশাপাশি তাদেরকে মৌলবাদ ও চরম পন্থার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করছে। শুধু ভারত বা বাংলাদেশ নয়; সমগ্র অঞ্চলে মৌলবাদ ও চরম পন্থার বিস্তার একটি গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মৈত্রী ভবন, ২০১৫ সালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। লক্ষ্য অর্জনে এটি আমাদের সাহায্য করবে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং আরও পেশাদার বাহিনী গড়ে তোলার জন্য এই ভবনে অত্যাধুনিক ফরেনসিক ল্যাবরেটরি, ছদ্ম অপরাধ দৃশ্য, নকল থানা, কম্পিউটার ল্যাবসহ আইটি সেন্টার সন্নিবেশিত করা হয়েছে। আমরা আরও খুশি যে, বল্লবভাই প্যাটেল ন্যাশনাল পুলিশ একাডেমি ও বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির মধ্যে সম্পাদিত সহযোগিতা স্মারকের পরিসমাপ্তি ঘটাতে যাচ্ছি।