আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুর বিভাগ থেকে ২০ বছরে ২ লাখ ২৭ হাজার কর্মী বিদেশ গেছেন       দিনাজপুরে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার        জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯      

 width=
 

রংপুরের ওসির ছবি ভাইরাল

মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই ২০১৮, বিকাল ০৭:১৪

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে জরুরি অবস্থা চলাকালে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধানমন্ডির বাসভবন সুধা সদন থেকে গ্রেফতার করেন।   কয়েকটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখান থেকে শেখ হাসিনাকে সরাসরি জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে স্থাপিত সাব জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের সময়কার একটি ছবি গতকাল (১৬ জুলাই) থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  ছবিতে দেখাযাচ্ছে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের সময়  বর্তমানে রংপুরের কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল মিঞা।  সম্প্রতি ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রংপুরের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মিজানুর রহমান তুহিন ছবিটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘২০০৭ সালের ১৬ জুলাই দেশরত্ন শেখ হাসিনা কে গ্রেফতারে অংশগ্রহন করা পুলিশ কর্মকর্তা এখন রংপুর কোতয়ালী থানার ওসি বাবুল মিয়া।  সমস্যা কি উনি তো সরকারী ডিউটিতেই ছিলেন! তাই না?? এখন কথা হচ্ছে নেতৃবৃন্দের তদন্ত করে দেখা উচিত উনি অতি উৎসাহী ছিলেন কিনা! থাকলে দ্রুুত অপসারন চাই।’ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এরশাদুল হক রঞ্জু লিখেছেন, ‘২০০৭ সালের ১৬ জুলাই দেশরত্ন শেখ হাসিনা কে গ্রেফতারে অংশগ্রহন করা এই পুলিশ কর্মকর্তা এখন রংপুর কোতয়ালী থানার ওসি বাবুল আকতার।তাকে দূত অপসারণ চাই।’ খোন্দকার মিলন নামে একজন লিখেছেন, ‘২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে গ্রেফতারে অংশগ্রহন করা এই পুলিশ কর্মকর্তা এখন রংপুর কোতয়ালী থানার ওসি বাবুল আকতার। চেনা যায় কি!’ এদিকে এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ওসি বাবুল মিঞা কোতয়ালী থানার অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে এক স্টাটাসে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ ২০০৭ সালে তৎকালীন সরকার কর্তৃক মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সংক্রান্তে একটি ছবি ফেসবুকে পোষ্ট করা হয়েছে। ছবিটির সত্যতা থাকলেও যে ভাষায় ষ্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে তা আদৌ সত্য তথ্য নির্ভর নয়। কেননা, আমি ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তি নিরাপত্তা ডিউটিতে তাঁর দেহরক্ষী হিসেবে সততার সহিত দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০৭ সালেও ঢাকা কোর্টে তাঁর নিরাপত্তায় আমরা নিয়োজিত ছিলাম। ২০০১ সালে আমাদের পরিবার জামায়াতের মামলায় আমার বাবা, চাচা, ভাইয়েরা আসামী হয়। আমার বড় ভাই ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং বর্তমানে ছোট ভাই ছাত্রলীগের থানা সেক্রেটারী।২০১১ সালে এই সরকার আমাকে পদোন্নতি দিয়ে উত্তরা এবং সবুজবাগ থানায় ওসি হিসেবে পদায়ন করে। আঃলীগের কেন্দ্রীয় নেতা জনাব তোফায়েল আহাম্মেদ, উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী,পংকজ দেবনাথ,এড সাহারা খাতুন,এড,সানজিদা খানম, এড,কামরুল ইসলাম সাবের হোসেন চৌধুরী,শেখ হেলাল উদ্দিন আমাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনেন ও জানেন। বর্তমানে রংপুরে সততা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বর্তমানে রংপুরের আইনশৃঙ্খলা পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে ভালো। কিছু অসাধু ব্যক্তি গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাসে মুলাটোলে ডাকাতি করিয়ে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল। এ বিষয়ে আমি কর্তৃপক্ষ বরাবর রিপোর্ট দিয়েছি। চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই, মাদক ও জঙ্গবাীদ নির্মুলে অবিরাম কাজ করছি।সম্মানীত নগরবাসীর প্রতি সবিনয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি যে এ ধরনের বিভ্রান্তমূলক পোষ্টে বিভ্রান্ত হয়ে কান্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য না করার জন্য। যদি কেউ উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে এ ধরনের মিথ্যা বানোয়াট পোষ্ট প্রকাশ করেন, তজ্জন্য দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া কোন বিকল্প থাকবে না।আশা করি সকলেই এ ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।’  

মন্তব্য করুন


 

Link copied