আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

জিএম কাদের এর পদত্যাগ পত্র প্রস্তুত

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৩, দুপুর ১২:১৯

জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা যায়, পার্টি প্রধান এরশাদ তার ছোট ভাই জিএম কাদেরকে মন্ত্রিসভা থেকে সরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রথমে গত মাসে এবং সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সোমবার তাকে পদত্যাগ করতে বলেন। জিএম কাদের এক মাস আগে থেকেই পদত্যাগপত্র পেশ করার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। জাতীয় পার্টির সরকার ঘেঁষা কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য নিতান্ত সৌজন্যের খাতিরে হলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর পরই পদত্যাগ না করার জন্য অনুরোধ করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী গতকালের নিয়মিত মন্ত্রিসভা বৈঠকেও যোগ দেননি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতা হিসেবে জিএম কাদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হলেও সরকারের বেশকিছু সিদ্ধান্তের সঙ্গে তার মতানৈক্য রয়েছে। কয়েক মাস আগে তিনি পদত্যাগপত্র পেশ করতেও যাচ্ছিলেন।

জিএম কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পার্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই আমি কাজ করবো। সরকারে থাকার ব্যাপারে পার্টি প্রধানের এবং তার নিজেরও অনাগ্রহের কথা জানান তিনি।

এদিকে মহাজোটে থেকেই জাতীয় পার্টির আগামী নির্বাচন করার ব্যাপারে সরকারের দিক থেকে ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও এরশাদ এবং জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে এর বিপরীত মন-মানসিকতা প্রবলভাবে কাজ করছে। শেষ বয়সে কোলাবরেটরের গ্লানি নিয়ে কলঙ্কিত হতে চান না এরশাদ। পার্টির হাতেগোনা কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য, তাদের অনুগামীরা এবং আঞ্চলিক শক্তির দিক থেকে মহাজোটে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এরশাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, বিদ্যমান বাস্তবতায় তাদের অনুরোধ এরশাদ বিবেচনা করতে না পারার কথা বলেছেন।

পার্টির একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা ও তৃতীয় একটি মাধ্যমে এরশাদ বিএনপির সঙ্গে আস্থাশীল সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। বিএনপি তাকে পুরোপুরি আস্থায় না নিলেও মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টিকে বের করে আনাই হবে বড় অর্জন বলে মনে করছে। দোটানায় আছেন এরশাদ। মন চায় মহাজোট ছাড়তে। নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ১৮ দলে শরিক হতেও আগ্রহের ঘাটতি নেই। কিন্তু ভয় বিএনপিও যদি আওয়ামী লীগের মতোই তাকে, তার পার্টিকে অবমূল্যায়ন করে। প্রধান দুই দলের আচরণে দ্বিধান্বিত এরশাদ ‘একলা চলো নীতি’ নেয়ার কথা বলছেন।

এরশাদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য আরও বলেন, বিএনপিকে ছাড়া জাতীয় পার্টির নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বললেও এটি তার শেষ কথা কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাদেরও। সরকারের প্রতি মানুষের যে অসন্তোষ রয়েছে তাতে বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টির যোগ্য প্রার্থীদের ভোটাররা বিকল্প হিসেবেও বেছে নিতে পারে। এ আশায় দলীয়ভাবে নির্বাচন করার বাসনাও রয়েছে তার। তার উপর রয়েছে আঞ্চলিক শক্তির প্রচণ্ড চাপ।

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, শেষ অস্ত্র হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে না থেকে প্রেসিডেন্ট বা স্পিকারকে এ দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব শীর্ষপর্যায়ের বিবেচনায় রাখা হয়েছে। বিদেশী কূটনীতিকরাও সে চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃশ্যত এব্যাপারে অনমনীয় হলেও তফসিল ঘোষণার আগে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ চিন্তায় নাটকীয় কিছু করতেও পারেন বলে তিনি মনে করেন। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের দায়িত্ব নির্বাচিত অপর একজনকে দেয়া অথবা সংসদ বিলুপ্ত করা- এ দুটোর মধ্যে একটি পথ বেছে নিতে পারে সরকার। তবে বিএনপির সর্বশেষ অবস্থানের পরিবর্তন না হলে তেমন কিছুর সম্ভাবনা কম। মানবজমিন

মন্তব্য করুন


 

Link copied