আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

আসামে বাঙালির শরশয্যা

বুধবার, ১৮ জুলাই ২০১৮, বিকাল ০৭:০৩

তপোধীর ভট্টাচার্য প্রতিদিনই পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে দ্রুত। এতদিন বাঙালিসহ সমস্ত ভাষিক সংখ্যালঘু মানুষ রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করেছেন কবে আসবে ৩০ জুন!‌ ২০১৭–‌এর ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে প্রথম খসড়া নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, নাগরিকপঞ্জি নবায়ন সুপরিকল্পিত চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়। তারপর যতদিন গেছে, অসমিয়া আধিপত্যবাদের স্বর উগ্র থেকে উগ্রতর হয়েছে গুয়াহাটির বিভিন্ন সংবাদপত্র ও বৈদ্যুতিক গণমাধ্যমে। সরকার ঘন ঘন বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাচ্ছে, এনআরসি ন্যায়সঙ্গত, নিরপেক্ষ এবং সবটাই ঘটছে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে। প্রকৃতপক্ষে এই তত্ত্বাবধান মোটেই প্রত্যক্ষ নয়, শুধুমাত্র অন্তরে–‌বাহিরে অন্ধ অসমিয়া আধিপত্যবাদের পূর্ব–‌নির্ধারিত সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়িত করার জন্যে সমস্ত প্রশাসন অতিমাত্রায় সক্রিয় হয়ে পড়েছে। এনআরসি–‌র রাজ্যিক সমন্বয়ক সুপ্রিম কোর্টের দোহাই দিয়ে গত কয়েক মাসে ইচ্ছে মতো নিয়ম তৈরি করেছেন এবং নিজেই সেই সব পাল্টে দিয়েছেন। বাঙালিসহ সমস্ত অনসমিয়া ভাষিক সংখ্যালঘুর জন্যে তৈরি হয়েছে অস্তিত্বের সঙ্কট। এই নবায়নের প্রধান ভিত্তি–‌দলিল হিসেবে গণ্য ১৯৫১ সালের প্রথম এনআরসি আসলে খুঁজেই পাওয়া যায়নি অাসামের বহু জেলায়। এ প্রসঙ্গে মনে রাখা প্রয়োজন যে ১৯৫১ সালের অাসামে মেঘালয়, মিজোরাম ইত্যাদি পরবর্তীকালের স্বতন্ত্র রাজ্যগুলি জেলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। অাসাম থেকে সেই সব এলাকা যখন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, বাঙালি–‌সহ অনসমিয়া বাসিন্দারা খণ্ডিত অাসামের বিভিন্ন অঞ্চলে চলে আসেন জীবিকার তাগিদে। তাদের নথিপত্র এনআরসি–‌র জন্যে পরীক্ষিত হওয়ার সময় দেখা গেল, উত্তর–‌পূর্বাঞ্চলের এই সব রাজ্য সরকার এদের সম্পর্কে নির্লিপ্ত ও দায়হীন। এর বিপুল তাৎপর্য সাম্প্রতিক প্রক্রিয়ায় স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। ১৯৬৬ সালের ভোটার–‌তালিকা নিয়েও একই ধরনের ব্যাপার চলেছে। লিগেসি ডাটা প্রতিষ্ঠার জন্যে যারা বাবা–‌মা কিংবা ঠাকুরদা–‌ঠাকুরমার নাম সংবলিত ওই ভোটার তালিকাকে অাসামের বাসিন্দা হওয়ার প্রমাণপত্র হিসেবে দাখিল করেছেন, ইচ্ছে মতো সেই সব অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। ফলে বাঙালির জন্যে কোনও কিছুই আর প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না। সমস্তটাই প্রতারণা। তার ওপর চলেছে ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে নোংরা রাজনীতি। হিন্দুত্ববাদী সংস্থাগুলো যেহেতু গুজব ছড়াতে ওস্তাদ, শিক্ষিত–‌অশিক্ষিত নির্বিশেষে বাঙালি হিন্দুরা বিশ্বাস করছে যে প্রতিদিনই অসমিয়া আধিপত্যবাদের দানবিক প্রচারযন্ত্রগুলো বিষ উগরে দিলেও সেই সব কিছুই নয়। হিন্দুস্তানে ‘‌কিছু একটা করে’‌ হিন্দুদের বাঁচিয়ে দেওয়া হবে। এনআরসি প্রক্রিয়া তো আসলে মুসলমানদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করার জন্যে!‌ এই সুযোগে ইসলামী মৌলবাদী শক্তি বাঙালি মুসলমানদের বোঝাচ্ছে, ভাষা মোটেই জরুরি বিষয় নয়। অাসামে নিরাপদে থাকার জন্যে মুসলমানেরা নিজেদের অসমিয়া বলে ঘোষণা করলেই হল!‌ প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বেশ কিছু অঞ্চলে মুসলমানেরা ‘‌আমাগো ভাষা অহইম্যা’‌ বলে লোকগণনার সময় নিজেদের অসমিয়া বলে ঘোষণা করেছিলেন। অসমিয়া আগ্রাসনবাদ এদের ‘‌নয়া অসমিয়া’‌ বলে আপ্যায়িতও করেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও নেলি–‌গোহপুরের বীভৎস গণহত্যা হয়েছে। আর, এখন নাগরিকপঞ্জি নবায়নের সময় এদের ভীষণভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। তবুও অন্তরে–‌বাহিরে অন্ধজনেরা দেওয়াল–‌লিখন পড়তে পারছেন না। বাঙালি জাতিসত্তা সম্পর্কে প্রত্যয় দৃঢ়ভিত্তি না পাওয়ার ফলে হিন্দু ও মুসলমানেরা পরস্পরকে জুজুবুড়ি হিসেবে গণ্য করছেন। অবশ্য অন্ধকারের মধ্যেও আলোর রেখার মতো রয়েছেন মাওলানা সারিমুল হক, মাওলানা আহমদ সায়ীদ, মাওলানা ফরিদউদ্দিন, মাওলানা আতাউর রহমান শাজার ভুঁইয়ার মতো ব্যক্তিত্ব, যারা প্রকাশ্য জনসভায় দাঁড়িয়ে ঘোষণা করছেন, জাতির মহা–‌দুর্যোগের দিনে আমাদের বাঙালি–‌পরিচয়েই বেঁচে থাকতে হবে। বাঙালি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, হিন্দু বা মুসলমান হিসেবে নয়। আবার এও সত্য যে রাষ্ট্রীয় প্রতাপের তাঁবেদার কিছু বাঙালি হিন্দু বুদ্ধিজীবী এবং বিভাজনের খেলায় দক্ষ কিছু মুসলমান রাজনীতিজীবী ঘোলা জলে মাছ শিকারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের উৎসাহ জোগান দিচ্ছে সাম্প্রতিককালে ‘‌বৃহস্তর অসমিয়া জাতি’‌ নামক অলীক সোনার–‌পাথর বাটির প্রচারকেরা। এই প্রচারের উদ্দেশ্য অত্যন্ত স্পষ্ট। অাসামের অসহায় বাঙালিসহ বোড়ো, কার্বি, ডিমাছা, মিশিং, রাভা প্রভৃতি সমস্ত জনগোষ্ঠীর স্বাতন্ত্র‌্য ধ্বংস করে দেওয়া। গোটা পৃথিবী জুড়ে এ সময় যে দক্ষিণপন্থী পুনরুত্থানের হাওয়া উঠেছে, তাতেই অসমিয়া আধিপত্যবাদ পাল উড়িয়ে দিয়েছে। বাঙালি হিন্দু–‌মুসলমান ভুলে যাচ্ছেন যে তাদের মাতৃভাষা সংখ্যার নিরিখে পৃথিবীতে ষষ্ঠ এবং ভারতে দ্বিতীয়। আসলে বাঙালির স্মৃতিসত্তার আবহ ধর্মতন্ত্রের শ্বাসরোধী আঁধিতে বিষাক্ত হয়ে পড়েছে। যে মেধা ও হৃদয় নিয়ে বাঙালি বিশ শতক জুড়ে বিজয় পতাকা উড়িয়েছিল, একুশ শতকে পৌঁছতে পৌঁছতে নিজ নিজ ধর্মতন্ত্রের অন্ধকূপে বন্দি আত্মবিস্মৃত বাঙালি অতীত গৌরবের প্রেতচ্ছায়া হয়ে পড়েছে। ইতিহাসের এই বিষম সঙ্কট মুহূর্তে রচিত হচ্ছে অাসামের বাঙালির সমাধিলিপি। নাগরিকপঞ্জি নবায়নের প্রক্রিয়ায় স্পষ্ট হয়ে পড়েছে এই মর্মান্তিক সত্য যে এখন আমাদের পথ দেখানোর জন্যে রবীন্দ্রনাথ নেই, নজরুল নেই, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ও নেতাজি সুভাষ নেই। নীহাররঞ্জন নেই, বদরুদ্দিন উমর নেই। নেই শরৎকুমার বসু, নেই আবুল হাশিম। দাড়িতে–‌ টিকিতে যে–‌বাঙালিত্ব ঢাকা পড়ে না, তা হোয়াটসঅ্যাপ আর ফেসবুকের মায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে ঘরে–‌বাইরে আক্রান্ত বাঙালি বড় সহজে নিজেদের লাগাতার মগজ–‌ধোলাইয়ের শিকার হতে দিচ্ছে। আর, সংক্রামিত অসুখকে আরও নিরাময়হীন করে তুলেছে আত্মপ্রতারণা দিয়ে। খণ্ডিত ভারতবর্ষে এখন অভ্যন্তরীণ উপনিবেশবাদ অাসামে যে বাঙালি–‌মৃগয়ার পালা শুরু করেছে, কাল পরশু এবং তারপরের দিন তা যে ত্রিপুরায়, পশ্চিমবঙ্গে এবং অন্য সব রাজ্যে হতে পারে— এ সম্পর্কে কোথাও কোনও সচেতনতা নেই। খোদ পশ্চিমবঙ্গেই ইদানীং অসহিষ্ণুতার কণ্ঠস্বর তীব্রভাবে শোনা যাচ্ছে। সেই জন্যে রাষ্ট্রশক্তি অাসামকে পরীক্ষাগার হিসেবে ব্যবহার করছে। একজনও এই সবচেয়ে জরুরি কথাটি বিবেচনা করছেন না যে অখণ্ড ভারতের সমস্ত সন্ততিই ভারতীয়, তারা যদি বিভাজন–‌পূর্ব ভারতের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে কোনও কারণে বাসস্থান পরিবর্তন করেও থাকেন, তাতে তাদের ভারতীয়ত্ব খারিজ হয়ে যায় না। উগ্র বিদ্বেষ ও জাতিঘৃণাকে মারণাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে অসমিয়া আধিপত্যবাদ যদি সেই সত্য মুছে দিতে তৎপর হয়েও থাকে, ভারতীয় শাসকেরা তাদের লাগাতার প্রশ্রয় কেন দিচ্ছেন?‌ কেনই বা ভারতবর্ষের বুধমণ্ডলীর বিবেক এতখানি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে গেল?‌ ভারত তবে কার?‌ জাতি–‌বৈরিতা ও অসহিষ্ণুতা সম্বল করে অন্ধকারের অপশক্তি যদি আসামে সফল হয়, জাতীয় সংহতি নিয়ে বড় বড় কথা কেউ কি আর শুনবে তবে?‌ এই বয়ান যে‌দিন লিখছি, সেই ৩০ জুন বাঙালি–‌মৃগয়ার পূর্ব নির্ধারিত ফল প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। আপাতত তা জুলাইয়ের ৮ তারিখ পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। এই সুযোগে গুয়াহাটিতে এবং ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় বাঙালি–‌বিদ্বেষের কদর্য সঙ্ঘবদ্ধ চেহারা উন্মত্ত উত্তেজনায় প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু এই সব খবর জাতীয় সংবাদপত্রগুলির কথা তো দূরঅস্ত, পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রগুলিতেও প্রকাশ পাচ্ছে না। অথচ ভাষা–‌আন্দোলনের মহাসংগ্রামের সময়, ১৯৬১ সালে, কলকাতার বিখ্যাত দৈনিকগুলির সংবেদনশীল ভূমিকা আমরা ভুলিনি। কিন্তু দেশভাগের চেয়েও বেশি বিপর্যয়ের আশঙ্কা জাগিয়েছে এই যে নাগরিকপঞ্জি নবায়নের প্রক্রিয়া, সে–‌সময় বিপন্ন স্বজাতির পাশে দাঁড়াননি অনেকেই। বরং নৈঃশব্দ্যের ঝরোখা তাদের ঘিরে রেখেছে। একদিকে বিশ্বায়ন এবং অন্যদিকে ধর্মতন্ত্রের বিষবাষ্পে কি তবে বাঙালির মেধা ও হৃদয় সত্যিই আচ্ছন্ন হয়ে গেল?‌ নইলে কীভাবে তারা লক্ষ্য করছেন না যে ভারতীয় সংবিধানের বহু মৌলনীতি এবং মানবাধিকারের প্রাক শর্তগুলি আসামে নির্মমভাবে পদদলিত হচ্ছে?‌ ভাবা যায় যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গণতন্ত্রের একটি অঙ্গরাজ্যে রাষ্ট্রবিরোধী আলফার প্রাক্তন সদস্যেরা গুয়াহাটিতে প্রকাশ্য সভায় হুমকি দিচ্ছেন যে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা থেকে এক হাজার যুবক বরাক উপত্যকায় এসে অসমিয়া আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠা করবেন?‌ আমরা কি মধ্যযুগে রয়েছি?‌ এই কি তবে তাদের ঘোষিত ‘‌সরাইঘাটের শেষ যুদ্ধ’‌?‌‌ প্রকাশ্য জনসভায় এ ধরনের প্ররোচনা দেওয়ার পরও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করে না। অথচ বিপন্নভাষিক সংখ্যালঘুরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করলে তাদের সভাস্থল অজস্র আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ঘিরে রাখা হয়!‌ মনে প্রশ্ন জাগে, এই কি স্বাধীন ভারতবর্ষ, যেখানে বাঙালি হওয়ার অপরাধে তাদের ঘোষিত রাষ্ট্রবিরোধীরা পর্যন্ত ভয় দেখাতে পারে?‌ তাই মনে পড়ে যায় বহু পরিচিত একটি উর্দু কবিতার পঙ্‌ক্তি:‌‌ ‘‌আমার হাজার কথা আর তোমার এক না শোনা‌!‌’‌ বাঙালির জন্যে তৈরি হয় ডিটেনশন ক্যাম্প, ঠিক হিটলারের জার্মানির ধরনে। এত অমানবিক এই প্রশাসন যে ১০৩ বছরের বৃদ্ধা উনমতিবালা, ১০২ বছরের বৃদ্ধি চন্দ্রধর–‌সহ বহু অসুস্থ প্রৌঢ় নারী ও শিশু তাদের হিংস্রতা থেকে রেহাই পায় না। এরপরও নীরব থাকে তথাকথিত গণতন্ত্র–‌প্রিয়জনেরা!‌ অথচ মোদ্দা কথা তো এই যে সভ্য সমাজে সবাই ভূমিপুত্র। অাসামে এই মৌল নীতিই বেপরোয়াভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। এমনকি, জানা গেছে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ মধ্যরাতে যে প্রথম খসড়া তালিকা বেরিয়েছিল, চূড়ান্ত খসড়ায় সেই তালিকা থেকেও বহু নাম বাদ যাবে। যাবেই তো। ভিত্তিহীন দলিলের ওপরে যে নাগরিকপঞ্জি তৈরি হচ্ছে, তাতে অসমিয়াদের (‌বিশেষভাবে বাঙালির)‌ নাম তো যোগ হওয়ার কথা নয়। নইলে ১৯৪৭ সালে উচ্চারিত সেই মহৎ বাণী ‘‌আসাম শুধু অসমিয়ার’‌— সত্য হয়ে উঠবে কী করে?‌ লেখক: আসাম কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। **  কলকাতার দৈনিক আজকালের সম্পাদকীয় বিভাগে লেখাটি প্রকাশ হয়

মন্তব্য করুন


 

Link copied