তিনি বলেন, বিএনপির কাজই হচ্ছে সন্ত্রীদের লালন-পালন এবং মানুষের ওপর অত্যাচার করা। বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশের টাকা বাইরে পাঠায়, মানুষকে হত্যা করে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি আবারো নৌকায় ভোট চান।
বর্তমান সরকারের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম দিনাজপুর সফর। এ উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল। বিকেলের জনসভায় দুপুর থেকেই লোকজন আসতে শুরু করে। এক পর্যায়ে জনসভা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে দিনাজপুর শহর সাজানো হয় মনোরম সাজে। শহরের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি সংবলিত বড় বড় বিলবোর্ড ও ডিজিটাল ব্যানার শোভা পায়। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের কারণে স্থানীয়ভাবে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার ছিল।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ৫ মে বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা কোরান শরিফ পুড়িয়েছেন। যারা কোরান শরিফ পোড়ায়, যারা মসজিদে আগুন দেয়, যারা কাবা শরিফের ছবি নিয়ে মিথ্যাচার করে তারা কিভাবে ইসলামের হেফাজত করে। এদের কোনো ধর্মকর্ম কিছু নেই।
এই সরকারের আমলে ইসলাম সুরক্ষিত নয় খালেদা জিয়ার এ বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাই এদেশে মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছি। বরং বিএনপিই জামায়াত-শিবির-হেফাজতকে সঙ্গে নিয়ে কোরান পোড়ায়।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ ছাত্রছাত্রী বৃত্তি পাচ্ছে। বিনা পয়সায় আপনাদের ছেলেমেয়েদের বই দিচ্ছি। প্রত্যেক জেলায় ইন্টারনেট সেবা চালু করে দিয়েছি। ’৯৬ সালে সরকারে এসে আমরা আপনাদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিয়েছি। আজকে ঘরে ঘরে প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই শান্তি এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় জনগণের কাছে ভোট চেয়ে বলেন, আপনারা যদি আগামীতে আবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনেন তাহলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী বলেছেন শেখ হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ চাই। কারণ তিনি জানেন শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করে। ইতিমধ্যে বিএনপির নেত্রীর ছেলের (তারেক রহমান) নেতৃত্বে আমাকে গ্রেনেড মেরে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। সেই সময় আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও আমার সহকর্মী আইভি রহমানসহ অনেক নেতাকর্মী নিহত হয় এবং আহত হয়।