আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

কয়লা কারসাজি; মধ্যরাতে বন্ধ হচ্ছে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র!

রবিবার, ২২ জুলাই ২০১৮, রাত ০৯:১৪

স্টাফ রিপোর্টার:  কয়লার অভাবে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।  রবিবার (২২ জুলাই) রাত ১২টার পর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান পিডিবির সদস্য (বিতরণ) সাঈদ আহমেদ। জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা মজুদের পরিমাণ কাগজে-কলমে রয়েছে একলাখ ৪০ হাজার টন। এর আগে ২০০৫ সালের কয়লা মজুদ এবং বিক্রির হিসাব পর্যালোচনা করে এই হিসাব দাঁড় করিয়েছে খনি কর্তৃপক্ষ। এই হিসাবই পিডিবিকে মৌখিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল। কিন্তু খনি থেকে উত্তোলনের পর মজুদাগারের সব কয়লা জড়ো করে গেছে, সেখানে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টনের মতো কয়লা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০০৫ সাল থেকে উত্তোলন, বিক্রি ও মজুদ হিসাব করে কাগজে কলমে এক লাখ ৪০ হাজার টন কয়লা দেখানো হয়েছে। অথচ এখন এই মজুদের পরিমাণ ১০ হাজার টন। বাকি একলাখ ৩০ হাজার টন কয়লা কোথায় গেলো, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বড়পুকুরিয়া খনি সংশ্লিষ্টরা জানান, এই খনি থেকে খোলা বাজারে কয়লা বিক্রি করা হয়। এই বিক্রিতে একটি মহল বেশি পরিমাণ কয়লা বিক্রি করে খাতায় কম হিসাব দেখাতে পারে। আবার কয়লা না তুলেও চীনা কোম্পানি অতিরিক্ত উত্তোলন দেখিয়ে বেশি অর্থ নিয়ে যেতে পারে। তবে, সবকিছুই তদন্ত শেষে জানা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে খনির শিফট পরিবর্তনের সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কয়লা সংকটে পড়ায় বিষয়টি সবার নজরে আসে। পিডিবির সদস্য সাঈদ আহমেদই কয়লা খনি পরিদর্শনের গিয়ে মাত্র ১০ হাজার টন কয়লা মজুদ পান। ওই সময় তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যেই কয়লার অভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাবে। ওই সময় কয়লা গায়েবের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।’ সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা কেন্দ্র বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। রবিবার রাত ১২টার পর বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিছু কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংরক্ষিত থাকে। যা ব্যবহার করে ফেলতে হয়। এখন সেগুলোই ব্যবহার করা হচ্ছে।’ প্রসঙ্গত, বিপুল পরিমাণ কয়লা গায়েবের ঘটনা জানাজানির পর বৃহস্পতিবার (১৯ ‍জুলাই) রাতেই খনি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদকে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের দফতরে সংযুক্ত করা হয়। শুক্রবার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া দুই জনকে প্রত্যাহার এবং দুই জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।একইসঙ্গে অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে কয়লা খনি কোম্পানিটির নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার পরিচালক (মাইন অপারেশন) কামরুজ্জামানকে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied