ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এদের জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। ‘চিহ্নিত’ বাকি ১৩ জন ওই হামলার পর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এই অভিযোগপত্রে।
মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম আজ সোমবার সকালে ডিএমপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। বলেন, সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তারা ওই অভিযোগপত্র আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার্জশিটে ২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮ জন বিভিন্ন অভিযানে ও ৫ জন হলি আর্টিজানেই নিহত হয়েছেন। এছাড়া জীবিত ৮ জনের মধ্যে ৬ জন কারাগারে ও ২ জন পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলো- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান ও হাদিসুর রহমান সাগর। পলাতক দুই আসামি শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে বলে জানান মনিরুল।
তিনি বলেন, তদন্তে দেখা গেছে, আসামিরা পাঁচ মাস আগে থেকেই হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশকে অস্থিতিশীল করা, বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র বানানো, সরকারকে চাপের মুখে ফেলা।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। হামলার পর রাতেই তারা ২০ জনকে হত্যা করে। সেদিনই উদ্ধার অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরদিন সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়। জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটির মুখপাত্র ‘আমাক’ হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে বলে জানায় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স।’