আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার বিধান ও নিয়ম

মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই ২০১৮, রাত ১২:০৮

  ঈদুল ফিতরের নামাজ- ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। বছর ঘুরে মুসলিম পরিবারে আবার উপস্থিত পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুমিন রোজাদার বান্দার জন্য খুশির দিন এই ঈদ। হজরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বিহ (রা.) ঈদের দিন কাঁদছিলেন। কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, আজ খুশির দিন ওই ব্যক্তির জন্য, যার রোজা কবুল হয়েছে। ঈদুল ফিতর হলো পুরস্কার লাভের দিন। এদিন একদল ফেরেশতা দাঁড়িয়ে যান এবং বলতে থাকেন, হে মুসলিম সম্প্রদায়! তোমরা দয়াময় প্রভুর দিকে ছুটে চলো। তিনি তোমাদের কল্যাণ দান করবেন। তিনি তোমাদের পুরস্কার দেবেন। ঈদুল ফিতর কেবল একটি খুশির বা আনন্দ উদযাপনের দিন নয়। ঈদ একটি ইবাদাতের নাম। এ দিনটি আমাদের জন্য এক বিরাট নিয়ামত। এ দিনেও বিশেষ কিছু ইবাদাত বা আমল রয়েছে এবং রয়েছে এসব আমল বা ইবাদাতের বিশেষ প্রতিদান। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত জেগে ইবাদাত করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। রাতগুলো হলো- ১. জিলহজের রাত। ২. আরাফার রাত। ৩. ঈদুল আজহার রাত। ৪. ঈদুল ফিতরের রাত, ৫. মধ্য শাবানের রাত। সুতরাং ঈদুল ফিতরের রাতে ইবাদত করা খুবই পুণ্যময় কাজ এবং এ ব্যাপারে মুমিন বান্দাদের একান্তভাবে সতর্ক থাকা উচিত। ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার বিধান ও নিয়ম : ঈদুল ফিতর বছরে দুই বার আসে। এদিনে বিশেষভাবে নামাজ আদায় করার জন্য আদেশ করেছেন নবীজি (সা.)। যেহেতু বছরে মাত্র দুইবার ঈদের নামাজ পড়তে হয়, তাই এই নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে অনেককেই জটিলতা ও দ্বিধা-সংশয় সৃষ্টি হয়। আর এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। এ জন্য ঈদের নামাজের আগে এই নামাজের নিয়ম-কানুন ও আদায় পদ্ধতিটি একটু ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। ঈদের নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে অনেকের ধারণা, নামাজের নিয়ত আরবিতে করা জরুরি। এমনটি ঠিক নয়। যেকোনো ভাষায়ই নামাজের নিয়ত করা যায়। নিয়ত মনে মনে করাই যথেষ্ট। ঈদের দিন ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে মনে মনে এই নিয়ত করতে হবে যে, আমি অতিরিক্ত ছয় তাকবিরসহ এই ইমামের পেছনে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি। এরপর উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধতে হবে। হাত বাঁধার পর ছানা অর্থাৎ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা….শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। এরপর আল্লাহু আকবার বলে হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। দ্বিতীয়বারও একই নিয়মে তাকবির বলে হাত ছেড়ে দিতে হবে। ইমাম সাহেব তৃতীয়বার তাকবির বলে হাত বেঁধে আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহসহ সুরা ফাতিহা পড়বেন এবং সঙ্গে অন্য যে কোনো সুরা তিলাওয়াত করবেন। এ সময় মুক্তাদিরা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকবেন। এ রপর ইমাম সাহেব নিয়ম মতো রুকু-সিজদা সেরে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবেন। মুক্তাদিরা ইমাম সাহেবকে অনুসরণ করবেন। দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব প্রথমে সুরা ফাতিহা পাঠ করবেন এবং সঙ্গে অন্য সুরা পড়বেনঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার বিধান ও নিয়ম। এরপর আগের মতো তিন বার তাকবির বলতে হবে। প্রতি তাকবিরের সময়ই উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। চতুর্থ তাকবির বলে হাত না উঠিয়েই রুকুতে চলে যেতে হবে। এরপর অন্যান্য নামাজের নিয়মেই নামাজ শেষ করে সালাম ফেরাতে হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied