আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

সীমান্তের হাটে কমেছে গরু আমদানি

বৃহস্পতিবার, ২ আগস্ট ২০১৮, রাত ১০:৫৯

নিয়াজ আহমেদ সিপন,লালমনিরহাট: দুপুর গড়িয়ে সূর্য্য ডুবে যাচ্ছে মেঘের আঁড়ালে। নিত্যপন্য কিনে বাড়ি ফিরছে হাটুরের দল। তবুও ভড়ে উঠেনি ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা লালমনিরহাটের দুরাকুটি পশুর হাট। আসন্ন কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে জমজমাট বিকিকিনির আশা থাকলেও তা গুড়েবালিতে পরিনত হয়েছে এ হাটের ইজারাদারের। জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহি দুরাকুটি হাটটি গরু ও মহিষসহ কোরবানির পশু ক্রয় বিক্রয়ে ব্যাপক নাম ডাক রয়েছে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বড় বড় শহরের পশু বেপারীদের কাছে। প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার দুপুর না হতেই পশুতে ভড়ে উঠত এ হাট। দুপুরে শুরু হলেও রাত ৯টা পর্যন্ত চলত বিকিকিনি। দুর দুরান্ত থেকে আসা বেপারীরা ট্রাকে ভড়ে সারা দেশের বাজারে নিয়ে যেত এই হাটের কোরবানির পশু। দুরের বেপারীরা কোরবানির পশুর চাহিদা পুরনে দুই মাস আগেই ক্রয় শুরু করেন। সেই অনুযায়ী ভড়া হাট বসার কথা জুলাই মাসে। কিন্তু এ বছর চিত্রটা একদম ভিন্ন। হাটে দৃশ্যমান তেমন কোন গরুই আসছে না। দুরাকুটি হাটের ইজারাদার নুরল ইসলাম জানান, প্রায় ৬০ লাখ টাকায় এক বছরের ইজারা নিয়েছেন ঐতিহ্যবাহি এ পশুর হাটটি। গত বছর এমন মৌসুমে ৮শত থেকে হাজারটি গরু বিক্রি হলেও এ বছর বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২/৩শতটি। সীমান্তের কঠোর নজরদারীর ফলে সীমান্তের এসব হাটে পশু আমদানি অনেকটা কমেছে। মুনাফা তো দুরের কথা সরকারী কোষাগারে দেয়া ইজারা মুল্যটাই আদায় করা কষ্টকর হবে বলেও দাবি করেন তিনি। গরু না আসার কারন হিসেবে বেপারীরা জানান, এ হাট থেকে ভারতীয় সীমান্ত খুব কাছে। কাঁটাতারের বেঁড়াহীন এ সীমান্ত পথে খুব সহজেই প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গরু পাচার করত এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী। এর বেশির ভাগ গরু বিক্রি হত দুরাকুটি ও লালমনিরহাট শহরের নয়ারহাট, বড়বাড়ি ও হাতীবান্ধার দৈখাওয়া হাট। যার ফলে দিনভর গরু মহিষে ভরপুর থাকত এসব পশুর হাট। গত দুই/তিন মাস ধরে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ায় সীমান্তের নজরদারী বেড়েছে কয়েকগুন। ফলশ্রুতিতে গরু পাচারও কমে এসেছে। এ কারনের সীমান্তের এসব পশুর হাটেও নেই দৃশ্যমান আমদানি। আমদানি কমে যাওয়ায় বাহিরের বেপারীদের আনাগোনাও কমে এসেছে। সীমান্তের একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র দাবি করেছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযানের আতংকে মাদক ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি গরুর রাখাল এবং ব্যবসায়ীরাও বাড়ি ছেড়েছে। সীমান্তবর্তি দুর্গাপুর ইউনিয়নের প্রায় ৫/৬ শত লোক বাড়ি ছেড়ে আত্নগোপনে রয়েছে। যাদের অধিকাংশ গরুর বেপারী। বর্তমানে ভারতীয় গরু খুব একটা আসছে না। অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে সামান্য কিছু আসতে পারে। তবে আগের মত নেই। সুত্রটি আরো জানান, ঈদের বাজার ধরতে সীমান্তের ওপারে ১০/১৫ হাজার গরু মহিষ মজুদ রেখেছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। সুযোগ পেলেই এসব গরু দেশের সীমানা অতিক্রম করে এসব বাজার দখল না করলেও সড়াসড়ি দেশের বড় সব কোরবানির হাটে উঠতে পারে। এ নিয়ে স্থানীয় সীমান্তের দু'দেশের বাহিনীর সোর্সদের সাথে কথাবার্তা চলছে। চুড়ান্ত হলে সুযোগ বুঝে কয়েক ঘন্টার মধ্যে পাচার হবে। তখন জমে উঠবে কোরবানির হাট। তবে এমনটা হলে দেশি খামাড়িরা লোকসানের মুখে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, জেলার ৫টি উপজেলায় ৩লাখ ৪৮ হাজার পশুর মধ্যে কোরবানি যোগ্য রয়েছে ৫৫হাজার ১৯১টি। গত বছর কোরবানি হয়েছে ৫৩ হাজার ৮০৯টি পশু। এ জেলার পশু অন্য জেলায় বিক্রি হলেও কোন ঘাটতি হবে বলেও দাবি করেন তিনি। গো-খাদ্যে কোন ভর্তুকি না থাকায় বাজার বেড়েই চলেছে। ফলে খামাড়িরা লাভবান হতে পারছেন না। কৃষিতে সারের অনুরুপ পশু_পাখির খাদ্যেও ভর্তুকির ব্যবস্থা থাকলে খামাড়িরা নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেঃ কর্ণেল গোলাম মোর্শেদ জানান, নজরদারীর ফলে মাদক ও গরু পাচার যেমন বন্ধ হয়েছে। অনুরুপ ভাবে বন্ধ হয়েছে সীমান্ত হত্যা। ভারতের অভ্যন্তরে ভারতীয়রা গরু মজুদ রাখলেও সীমান্ত অতিক্রম করার কোন সুযোগ নেই। সীমান্তের এ নজরদারী আগামী দিনেও অব্যহত থাকবে বলে দাবি করেন তিনি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied