আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

ছাত্রদের দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানালেন ইলিয়াস কাঞ্চনের

শুক্রবার, ৩ আগস্ট ২০১৮, দুপুর ০৪:৩৪

ডেস্ক রিপোর্ট: বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি জানিয়েছেন তা আগামী রোববার থেকে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের (নিসচা) আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ আহ্বান জানান।  হানিফ পরিবহনের কর্মীদের হাতে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পায়েল হত্যা এবং বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূরের বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবারের মানববন্ধন ডাকেন ইলিয়াস কাঞ্চন। সরকার দাবি বাস্তবায়ন শুরু করলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা যেন ঘরে ফিরে যান সে আহ্বানও রেখে বাংলাদেশে সড়কে প্রাণহানিবিরোধী আন্দোলনের এ পথিকৃত বলেন, শিক্ষার্থীদের যে দাবি আপনারা মেনে নিয়েছেন, তা আজ শুক্রবার ও কাল শনিবার হয়তো কার্যকর করা সম্ভব নয়। কিন্তু রোববার থেকেই যেন আমরা দেখতে পাই সেই কাজগুলোতে আপনারা হাত দিয়েছেন। অভিযোগ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, যারা ডান্ডাওয়ালা (পতাকার স্ট্যান্ড) গাড়ি ব্যবহার করার উপযুক্ত নন, তারা ডান্ডাওয়ালা গাড়ি ব্যবহার করেন। যারা দেশ চালাচ্ছেন, তারাই উল্টোপথে গাড়ি চালাচ্ছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরাতে কিভাবে আহ্বান জানাতে হবে তার কৌশল বাতলে দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা বলেন আমরা আর করব না, আমরা দুঃখিত। আমরা সন্তানদের কাছ থেকে শিখেছি- আমরা আর করব না, বাবারা তোমরা ঘরে ফিরে যাও- এভাবে বলেন, নিশ্চয় আমাদের সন্তানরা ঘরে ফিরে যাবে। আপনারা যদি কাজ শুরু করে দেন, তা হলে আমি অবশ্যই বলব আমার সন্তানরা যেন ঘরে ফিরে যায়। মানববন্ধনে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান নিসচা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।  তিনি বলেন, সাময়িক অসুবিধা হলেও আপনারা অস্থির হবেন না। ভালো কিছু পাওয়ার জন্য অনেক সময় কিছু কষ্ট স্বীকার করতে হয়। এ সময় সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দায়িত্বহীন বক্তব্যেরও তীব্র প্রতিবাদ জানান ইলিয়াস কাঞ্চন।  ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আমার সন্তানের মাকে হারিয়ে ২৫ বছর আগে আমি এ আন্দোলন শুরু করেছিলাম। এর একটিই উদ্দেশ্য ছিল- আমার সন্তানের মতো আর কোনো সন্তান তার মাকে যেন না হারায়। কোনো মায়ের সন্তানের রক্ত যাতে সড়কে না ঝরে। এ আন্দোলন করতে গিয়ে আমাকে অনেক ধরনের নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। মানসিকভাবে আমাকে কষ্ট দেয়া হয়েছে। তার পরও আমাকে দমানো যায়নি। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আজকে ২৫ বছর পর হলেও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এ দাবি নিয়ে সড়কে নেমে এসেছে। আমি শুরু থেকেই তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এসেছি। তাদের যৌক্তিক দাবিগুলোকে আমি সমর্থন করে এসেছি। আমি তাদের সঙ্গে আছি।  আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই- নিরাপদ সড়ক মানুষের প্রাণের দাবি। এ দেশের মানুষ সড়কে মরতে চায় না, পঙ্গু হতে চায় না। সে কারণে আর সময় নষ্ট করা উচিত নয়, যতই সময় যাবে ততই জীবন যাবে। দাবি মেনে নিয়ে বাস্তবায়ন শুরু করুন। ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, যে পরিবহন সেক্টরের ভয়ে আপনারা নতুন আইন প্রণয়ন করতে পারেন না। আজকে সেই সুযোগটি শিক্ষার্থীরা করে দিয়েছেন। এখন সারা দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আছে। এ অবস্থায় নতুন আইন তৈরি করা ও প্রয়োগ করা কোনো কষ্টের বিষয় হবে না। এখনই কাজটি শুরু করা উচিত।

মন্তব্য করুন


 

Link copied