আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

রংপুরে হত্যা মামলার আসামীকে গ্রেফতারের দাবি

মঙ্গলবার, ৭ আগস্ট ২০১৮, রাত ০৮:২৬

রনজিৎ দাস: রংপুর জেলার সদর উপজেলার পাগলাপীর এলাকার ব্যবসায়ী লেবু মিয়া হত্যার প্রধান আসামী কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান লিটন প্রকাশ্যে বের হলেও ধরছে না পুলিশ। মঙ্গলবার পাগলাপীরের গান্ডার পাড়ার নিজ বাসায় সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এমন অভিযোগ করেন নিহত লেবু মিয়ার স্ত্রী সেতারা বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, লেবু মিয়ার স্কুল পড়ুয়া ছেলে মোঃ সুমন এবং ছোট ভাই নজরুল ইসলাম। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ইট ভাটাকে কেন্দ্র করে পাগলাপীরের মহাদেবপুর গান্ডার পাড়া গ্রামের তামাক ব্যবসায়ী লেবু মিয়াকে হত্যা গত ১৪ জুন রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও তার সন্ত্রাসী গ্রুপ। লাশটি পার্শ্ববতী মমিনপুর ইউনিয়নের মহেশপুর সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে রাতেই লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় নিহত লেবু মিয়ার ভাই নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত ডাকাত বেলাল ও তার সহযোগী মমিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এরই মধ্যে বেলাল ডাকাত পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছে। কিন্তু মমিদুল ইসলাম আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার পরিকল্পনাকারী ও মুল ঘাতক হিসেবে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের নাম উল্লেখ্য করেছে। লিটনের চলন্ত সাদা জীপ গাড়ীর ভিতরেই শ্বাসরোধ করে লেবু মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। ১৪ আগস্ট লেবু মিয়া হত্যাকান্ডের দুই মাস পূর্ণ হচ্ছে। প্রধান আসামী গ্রেফতার ও খুনের কারণ পুলিশ খুঁজে বের করতে না পারায় হতাশ লেবু মিয়ার পরিবারনিহত লেবু মিয়ার স্ত্রী সেতারা বেগম জানান, আমার স্বামী লেবু মিয়ার সাথে খুনি কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘ দিনের। এসএমবি ইট ভাটা নিয়ে দু‘জনের ব্যস্ত সময় কাটাতো। খুনি কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের বাসায় মাছ মাংস রান্না হলে আমার স্বামী লেবু মিয়াকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খাওয়াতো। আমার স্বামী বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা লোন নিয়ে খুনি কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের হাতে দিয়েছে। আমার স্বামীর সাথে সু-সম্পর্ক থাকার পরও টাকা লেন দেনের কারণে তাকে হত্যা করেছে খুনি কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান লিটন। আমার স্বামীকে খুন করে আমাকে বিধবা ও আমার সন্তানদের পিতার স্নেহ থেকে বঞ্চিত করেছে। মানুষ এতো নিষ্ঠুর হয় কি করে? স্বামীকে হারিয়ে আমি নিজে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছি। আমার পরিবারকে নানা রকম হুমকী ও ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে। প্রধান আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে সেতারা বেগম বলেছেন, পুলিশ স্বল্প সময়ে দেশের অনেক লোমহর্ষক ক্লু-লেস হত্যাকান্ডের অপরাধী দ্রæত সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রায় দুই মাস হতে যাচ্ছে তবে কেন আমার স্বামী লেবু মিয়া হত্যার প্রধান খুনি কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান লিটনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনছে না পুলিশ। বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, “দূস্কৃতকারী যেই হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া যাবে না।” তবে কি রংপুর পুলিশ প্রধানমন্ত্রী‘র এ নির্দেশ মানছে না? তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রংপুরের ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী‘র স্বাক্ষাৎ করার জন্য ঢাকায় যাবেন বলে জানান।

মন্তব্য করুন


 

Link copied