ডেস্ক: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আট আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শওকত আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ভাগলপুর গ্রামের এরফান আলী ওরফে টিপু (৫২), তার দুই ছেলে হামেদ (৩২) ও রুমেদ (২৯) এবং একই গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে আকালু (৩৫) ও তোহর আলীর ছেলে দবির (৩০)। এদের মধ্যে হামেদ ও রুমেদ পলাতক।
মামলার অভিযোগের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আঞ্জুমান আরা জানান, ২০০৯ সালের ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় ভাগলপুরের আহাদুল ইসলাম ও তার সহযোগী আব্দুল হাকিম বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় অভিযুক্তরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে আহাদুল ইসলাম মারা যান। ওই ঘটনায় আহাদুলের শ্বশুর শামসুল বাদী হয়ে হয়ে পরদিন গোমস্তাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। গোমস্তাপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবর হোসেন ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তিনি জানান, মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শোনার পর বুধবার আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয়মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর ৮ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।