আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

দিনাজপুরে একজনকে হত্যা করায় হত্যাকারীকেও জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

বৃহস্পতিবার, ৯ আগস্ট ২০১৮, দুপুর ১২:৪০

শাহ্ আলম শাহী,স্টাফ রিপোর্টার,দিনাজপুর থেকেঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সুরুজ মিয়া নামে এক নৈশ্য প্রহরীকে কুপিয়ে হত্যার জেরে বিক্ষুদ্ধ জনতা হত্যাকারী রবিউল ইসলামকে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এ সময় ররিউলের বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। সুরুজ মিয়া (৪৫)কে হত্যার সময় শহীদ মিয়া (৪২) নামে একজন নৈশ্য প্রহরি এবং তার শিশু পুত্র একরামুল হক শামিমকে কুপিয়ে আহত করেছে রবিউল। নিহত সুরুজ মিয়া বীরগঞ্জ জগদল হাটপুকুর জেলগেট এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। আর বিক্ষুদ্ধ জনতার হাতে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার শিকার রবিউল ইসলাম (২৫) একই এলাকার তারা মিয়ার ছেলে। সুরুজ মিয়াকে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে, আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় শালবাগান জেলখানা গেট নামক এলাকায় এলাকায়। আর হত্যাকারী রবিউলকে বিক্ষুদ্ধ জনতা পুড়িয়ে হত্যা করেছে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতা সকাল ৯টা পর্যন্ত দিনাজপুর পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন,বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিলা পারভীন। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, রবিউল ইসলাম (২৫) ভোর সাড়ে ৫টায় ধারাল অস্ত্র নিয়ে পৌরসভার রাস্তা নির্মানের তাবুতে গিয়ে নৈশ্য প্রহরী সুরুজ আলী (৪৫) কে এলাপাথারী কুপিয়ে খুন করে। খুনি রবিউল সেখান থেকে পৗরসভা হাটের দোকানে নৈশ্য প্রহর্রী শহীদ মিয়া (৪২) ও তার ছেলে একরামুল হক (৩) কে এলাপাথারী কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। আহত শহীদ মিয়া ও শিশুপুত্র আহতএকরামুলকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। খুনি রবিউল পালিয়ে বাড়ীতে গিয়ে রক্তমাখা কাপর পালটিয়ে পালিয়ে যায়। বিক্ষুদ্ধ জনতা হত্যার বিচারের দাবিতে ২০/২৫টি রাস্তার গাছ কেটে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক আবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় খুনি রবিউলের বসতবাড়ী ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে তাকে ধাওয়া করে ১৩ মাইল গড়েয়া বাজার থেকে ধরে এনে সাবজেলের সামনে পুলিশের উপস্থিতিতে মারপিট করে। পরে তার শরীরে রাস্তার কাজের গরম পিজ ঢেলে আগুন ধড়িয়ে পুড়িয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে দিনাজপুর থেকে দমকল বাহিনীর একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করে। পুলিশ ২টি লাশের সুরতহাল লিপিবদ্ধ করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। পুলিশ খূনি রবিউলের মা-রওশনারা বেগম ও বোন সুলতানাকে গ্রেফতার করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, খুরি রবিউল এর আগে গত রমজান মাসে আলহাজ্ব হামিদুল ইসলামের মার্কেটের চা-দোকানদার বশির উদ্দিন (৪২) কে রাতে বাড়ীর সামনে অন্ধকারে কুপিয়ে খুন করে। গত ৬ আগষ্ট একই এলাকার লাল মিয়ার ছেলে কালা মিয়া (৩০) কে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। কালা মিয়াকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় গ্রামবাসী ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করে। সংবাদ পেয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল ঘটনাস্থলে এসে খুনি রবিউলকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করার নিদের্শ দেন এবং বিচারের আশ্বাস দিলে উত্তেজিত জনতা অবরোধ তুলে নেয়। এর আগে ঘাতক রবিউল রাস্তার ধারে ঝোপে-ঝাড়ে লুকিয়ে থেকে স্কুল-কলেজ গামী ছাত্রীদের জাপটে ধরে জোর করে চুমু দেয় ও একর পর এক শ্লীলতাহানী ঘটায়। এলাকাবাসী এর আগে রবিউলকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পুলিশ ১২ ঘন্টা থানায় আটক রাখার পর ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় গ্রামবাসী থানা ঘেরাও করে গ্রেফতার ও শাস্তির জোর দাবি জানায়। পুলিশ গ্রেফতারের আশ্বাস দেয়। এলাকাবাসী দীর্ঘ দিন ধরে এ ধরনের ঘটনার আশংকায় ররিউকে গ্রেফতার করার জোর দাবি করে আসছিল। ঘাতক রবিউলকে পুড়িয়ে হত্যার পর এলাকা নিরাপদ হয়েছে দাবি করে অনেককে আনন্দে উল্লাস প্রকাশ করে । সকাল ৯টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকলকর্মীদের সহায়তায় আগুন নিভিয়ে রবিউলের পুড়ন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রায় ৩ ঘন্টা পর সকাল ৯টায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দিনাজপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied