লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় স্ত্রী মিনা বেগমকে(২৫) শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী মোস্তফা আলী সপরিবারে আত্মগোপন করেছেন।
শুক্রবার(১০ আগষ্ট) সকাল ১১ টার দিকে স্থানীয়দের খবরে মরদেহ উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ।
পলাতক স্বামী মোস্তফা আলী আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের সজিব বাজার এলাকার এমাজ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মোস্তফা আলী দুই সন্তান ও বড় স্ত্রী মায়া বেগমকে বাড়িতে রেখে চট্টগ্রামে কাজে গিয়ে ৪ বছর আগে কক্সবাজার সন্দিপ এলাকার মিনা বেগমকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে দুই স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। মিনা বেগম ঝিয়ের কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করত। এরই মাঝে মায়ার কোলে একটি মেয়ে(২) সন্তান আসে।
মিনা বেগমকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে কারনে অকারনে নির্যাতন করত মোস্তফা ও তার বড় বউ মায়া বেগম। নির্যাতনের এক পর্যায়ে গত এক সপ্তাহ থেকে থেমে থেমে মারপিট করলেও চিকিৎসা করাত না। এ নিয়ে মিনা বেগম স্থানীয় মাতব্বর সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ও স্থানীয় সজিব বাজারের ব্যবসায়ীদেরকে নালিশ করলে শুক্রবার বৈঠকের দিন ধার্য করেন।
নালিশের বিষয়টি জানার পর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে স্বামী মোস্তফা ও তার বড় বউ মায়া বেগম। বৃহস্পতিবার(৯ আগষ্ট) দিনগত রাতে মিনা বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির বাহিরে ফেলে রেখে সপরিবারে ছটকে পড়ে স্বামী মোস্তফা আলী।
সকালে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক হামিদুর রহমান জানান, নিহত গৃহবধু মিনা বেগম প্রায় দিন মারপিটের জন্য চিকিৎসা নিতে তার কাছে আসতেন। বৃহস্পতিবার বিকেলেও চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, নিহত গৃহবধু নির্যাতনের বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার নালিশ করলে শুক্রবার বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শুক্রবার সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাসুদ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মর্গে পাঠানো হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারন অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে পুলিশ।