প্রশ্নঃ ইসলামের দৃষ্টি তে হস্তমৈথুন এর হুকুম কি ? এর ফলে শারিরিক কোনো ক্ষতি হয় কিনা ?
উত্তর : ইসলাম হস্তমৈথুন কে কঠিন ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে।ইসলাম বৈধ স্ত্রী ব্যতিত অন্য কোন ভাবে যৌনক্ষুধা মেটানো কে সমর্থন করেনা । তাই এর থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
হস্তমৈথুন এর ফলে শারিরিক কোন ক্ষতি হয় কিনা?
আধুনিক বিঞ্জান মতে হস্তমৈথুন এর ফলে কোন ক্ষতি হয়না ।
তবে হোমিও, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী শাস্ত্র মতে এর ব্যপক ক্ষতিকর দিক রয়েছে । আর এটাই বাস্তব । যেমন, হোমিও আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী শাস্ত্র মতে হস্তমৈথুন এর ফলে নিম্নবর্তী রোগ গুলো হতে পারে
১.যৌন দুর্বলতা
২.মানসিক অবসাদ
৩.স্নায়ুবিক দুর্বলতা
৪.ধাতু দুর্বলতা
৫.ধাতু তরল হয়ে যাওয়া
৬.গনোরিয়া রোগ
৭. লিঙ্গের আগা মোটা গোড়া চিকন
৯.লিঙ্গ বাঁকা
১০.মাথা ঘুরানো
১১.ঘন ঘন স্বপ্নদোষ
আরও পড়ুন …
মাত্র ১৫ মিনিটেই মানুষকে মেরে ফেলতে পারে যে গাছ
বাড়ির অথবা অফিসের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অনেকেই পাতাবাহার গাছ লাগান। কিন্তু এই পাতাবাহারটি যে আদতে কি ভয়ংকর, তা আমরা ঘুর্ণাক্ষরেও টের পাই না! এই গাছটির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন আপনি, এমনকি মারাও যেতে পারেন!
বাড়িতে পাতাবাহার জাতীয় গাছ রাখতে ভালোবাসেন অনেকেই। তবে গাছ রাখার আগে অবশ্যই জেনে নেওয়া প্রয়োজন গাছটি আমাদের কোনো ক্ষতি করতে সক্ষম কি না। বিশেষ করে বাসায় ছোট শিশু থাকলে অবশ্যই সাবধান হওয়া প্রয়োজন।
এই যে গাছটির ছবি দেখছেন, তার পোশাকি নাম হলো এবং অফিস আদালতে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বারান্দা বা করিডোরে, এমনকি বাসাবাড়ির বারান্দাতেও একে দেখা যায়। সুন্দর এই গাছটি যে আসলে আমাদের ক্ষতি করতে সক্ষম তা আমরা কেউই জানি না।
একজন অভিভাবকের পরামর্শ হচ্ছে এটি, যে বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকলে আপনার উচিত হবে এদের ব্যাপারে জেনে নিয়েই এসব গাছকে বাসায় রাখা। কারণ তার ৩ বছর বয়সী কন্যাশিশু ভুল করে এই গাছের একটি পাতা গিলে ফেলে। এতে তার জিহ্বা ফুলে যায় এবং তার মৃত্যু ঘটে। সামান্য অসাবধানে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে পারে আপনার জীবনেও।
আরও পড়ুন …
লজ্জাস্থান মুখে দেয়া সম্পর্কে ইসলাম কি বলে ?? জানুন বিস্তারিত
প্রশ্ন: লজ্জাস্থানে মুখ দেওয়া কি হারাম?
প্রশ্ন: স্ত্রীর মুখে লিঙ্গ দেওয়া জায়েজ আছে কি?
প্রশ্ন: বউয়ের যোনিতে কি মুখ দেওয়া যাবে? ইসলাম কি বলে যদি পারেন জানাবেন।
প্রশ্ন: স্বামী তার স্ত্রীর যোনি এবং স্ত্রী তার স্বামী (পুরুষাঙ্গ+যোনি) চুষতে পারবে কি?
উপরের প্রশ্ন ৪টির কিন্তু মূলে জবাব একটি। তাই চারটি প্রশ্নের জবাব এক সাথে দিয়ে দিলাম।
উত্তর: মা আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) বলেছেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি আমার লজ্জাস্থান দেখেন নি এবং আমিও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের লজ্জাস্থান দেখেনি।
তাছাড়া নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন লজ্জাস্থানে না তাকাতে। কেননা তাতে চোখের জ্যোতি কমে যায়।
তবে নিচে এ নিয়ে আমার মত প্রকাশ করলাম।
দ্বিতীয়ত: যৌনাঙ্গতে মুখ লাগানো এটি একটি পশুভিক্তিক আচরণ। যৌনাঙ্গতে মুখ লাগানো এটা সভ্য মানুষের আচরণ হতে পারেনা। পুশুদের হাত নেই বলেই তার সঙ্গীনিকে মুখ দ্বারা উত্তেজিত করে। কিন্তু আপনার তো হাত আছে। আপনার হাত থাকতে কেনো আপনি (পুরুষ ও নারী) কেনো যৌনাঙ্গতে মুখ লাগিয়ে আপনার সঙ্গীনিকে উত্তেজিত করবেন?? আমার জানা মতে পুশুরাও তো যৌনাঙ্গতে মুখ লাগায় না। তবে আপনি কেনো সৃষ্টির সেরা হয়ে যৌনাঙ্গতে মুখ লাগাবেন?
এটা তো প্রসাবের রাস্তা। আপনি কি যে পাত্রে প্রসাব করেন সে পাত্রে কি খাদ্য রেখে খাবেন? আমার এই কথার বিপরীতে যদি আপনি বলেন এটা (যৌনাঙ্গ) তো ধোয়া ও পরিস্কার থাকে। জবাবে আমি আপনাকে বলবো আপনি কারো বাসায় মেহমান হয়ে গেলেন। আপনার সামনে সে বাসার মালিকের ছোট্ট ছেলে ফল রাখার পাত্রেতে প্রসাব করে দিল এবং বাসার মালিক তা ধুয়ে সে পাত্রে আপনাকে ফল বা খাবার খেতে দিল তাহলে আপনি কি সে খাবার খাবেন?
আপনি তাকান তো আপনার নিজের দিকে। আপনি যখন আপনার মায়ের গর্ভে ছিলেন, তখন মহান আল্লাহ আপনার মায়ের মাসিকের রক্ত বন্ধ করে সে রক্ত দিয়ে আপনার প্রাণ বাঁচিয়েছেন। সে মাসিকের রক্ত কি আপনাকে মুখ দিয়ে পান করিয়েছেন না কি নাড়ী দিয়ে। মহান আল্লাহ মাসিকের রক্ত নাড়ী দিয়ে আপনার দেহ প্রবেশ করিয়ে আপনার প্রাণ রক্ষা করেছেন। তিনি এমনটি কেনো করেছেন? উত্তর হচ্ছে এই রক্ত যদি আপনার মুখ দিয়ে আপনার দেহে প্রবেশ করাতেন তাহলে আপনার মুখ টা নাপাক হয়ে যেত। তা হলে আপনি দুনিয়াতে এসে অপবিত্র মুখ দিয়ে মহান আল্লাহর নাম নিতেন। আপনি যাতে পবিত্র মুখ দিয়ে মহান আল্লাহর নাম জপতে পারেন সে জন্য মহান আল্লাহ এই ব্যবস্থার মাধ্যমে মায়ের গর্ভে আপনার প্রাণ বাঁচিয়েছেন।
তৃতীয়তঃ যৌনাঙ্গতে মুখ লাগালে যৌনাঙ্গতে লেগে থাকা জীবাণু আপনার দেহে প্রবেশ করবে। তাতে আপনি অসুস্থ হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাছাড়া আপনি যৌনাঙ্গতে মুখ লাগাবেন সে যদি যৌন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তখন আপনি কি করবেন?