বিষয়টা কেমন যেন মনে হচ্ছে তাই না। শুকনো যৌনমিলন পরিতৃপ্তি হচ্ছে এমন একটি পরিতৃপ্তি যাতে কোন প্রকার বীর্য নির্গত হয়না। শুষ্ক বীর্যস্থলন মানে পুরুষ বন্ধাত্ব অথবা পরিতৃপ্তি প্রাপ্তির অক্ষমতা নয়। এটি শুধুমাত্র বীর্যের অভাব থেকে হয়। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এবার আসুন দেখা যাক কি কি কারণে এমনটি হতে পারে :-
শুকনো যৌনমিলন পরিতৃপ্তি কি কারনে হতে পারে:-
শুকনো যৌনমিলন পরিতৃপ্তি নানা শারীরিক কারনে হতে পারে। তবে শুকনো যৌনমিলন পরিতৃপ্তি এর অতি স্বাভাবিক কারনগুলোর মধ্যে আছে –
বিপরীতগামী বীর্যস্থলনের কারনে বীর্য মুত্রনালী হয়ে বাহিরে আসার পরিবর্তে যদি মুত্রথলির দিকে প্রবাহিত হয়।
অস্ত্রপ্রচারের কারনেমূত্রস্থলীর গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থি অপসারিত হওয়া।
অস্ত্রপ্রচারের করনে মূত্রস্থলী অপসারিত হওয়া।
পেলভিক অঞ্চলে বেগুনী রশ্মি থেরাপী উচ্চশক্তিসম্পন্ন বা তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রয়োগ করে রোগের চিকিত্সা করা।
শুকনো যৌনমিলন পরিতৃপ্তির চিকিৎসা :-
শুকনো যৌনমিলন পরিতৃপ্তি এর চিকিৎসা তার কারনের উপর নির্ভরশীল। তাই ভালো কোন হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলুন।
স্বাভাবিক বীর্যস্থলনে প্রতিবার বীর্যের পরিমান:-
২০-৩০ বছর বয়সী পুরুষের বীর্যস্থলনে বীর্যের পরিমান প্রায় ৪ মিঃলিঃ।
৩০-৫০ বছর বয়সী পুরুষের বীর্যস্থলনে বীর্যের পরিমান প্রায় ৩.৫ মিঃলিঃ।
৫০-৭০ বছর বয়সী পুরুষের বীর্যস্থলনে বীর্যের পরিমান প্রায় ২ মিঃলিঃ।
৭০ উর্দ্ধ পুরুষের বীর্যস্থলনে বীর্যের পরিমান ১ মিঃলিঃ এর মত।
উপরে প্রদত্ত তথ্যগুলো “হিউম্যান রি-প্রোডাকশান” জার্নাল এর ২০০৩ এর ইস্যু ১৮ এর ৪৪৭-৫৪ নাম্বার পৃষ্ঠায় মুদ্রিত। প্রত্যেক বয়স সীমার পুরুষের মধ্যে অনেকে উল্ল্যেখিত মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি কিংবা অনেক কম মাত্রায় বীর্য উৎপন্ন করতে পারেন হয়তো।
প্রোস্টেটিকটমি এর পর শুকনো যৌনমিলন পরিতৃপ্তি:-
প্রোস্টেট অস্ত্রপ্রচার তথা প্রোস্টেটিকটমিতে (প্রোস্টেট অপসারণ) গ্রন্থি ও অন্ডকোষ অপসারনের পরও শুক্রাশয় শুক্রানু উৎপন্ন করে। যাইহোক, শুষ্ক বীর্যস্থলনের সময় শুক্রানু বাহিরে আসতে পারেনা এবং ফলশ্রুতিতে শরীর শুক্রানুগুলোকে পুনরায় শোষন করে নেয়।