আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ছুটি বাড়ল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে       ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা       সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি       হিট অ্যালার্টে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি      

 width=
 

দারিদ্র্য বিমোচন সরকারের অবদান

বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট ২০১৮, রাত ১০:৫৫

ডেস্ক: রাষ্ট্র ও সমাজের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক দারিদ্র্য বিমোচনে সাফল্য। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনে দারিদ্র্য বিমোচন একান্ত জরুরি। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৫৬.৭%, যা ২০১৭ সালে হ্রাস পেয়ে ২৪.৩% এ দাঁড়িয়েছে। সামাজিক খাদ্য নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন- শেখ হাসিনার অবদান। দারিদ্র্য হ্রাসে গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্জিত গতিশীলতা এবং হত দরিদ্রদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, অতিদরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য ও টেস্ট রিলিফ, জিআর ছাড়াও সরকার-উদ্ভাবিত একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ, গৃহায়ণ, আদর্শ গ্রাম, গুচ্ছগ্রাম, ঘরে ফেরা প্রভৃতি কর্মসূচির পাশাপাশি ওএমএস, ফেয়ার প্রাইস কার্ড, ভিজিডি, প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা, দুস্থ মহিলা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা, চর জীবিকায়নসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট ব্যয় ছিল ১১ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভাতার পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধিপূর্বক ৫৪ হাজার ২০৬ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ‘খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০১৫-১৬’ থেকে দেখা যায়, ২৮ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠী সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীকে আরো যুগোপযোগী ও কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকার প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল’ প্রণয়ন করেছে। রূপকল্প ২০২১ কে সামনে রেখে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২১)’ প্রণয়ন করা হয়। রূপকল্প ২০২১-এ বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা এবং দারিদ্র্যের হার ১৩.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রতিবেশী ও সমপর্যায়ের রাষ্ট্রগুলোর তুলনায় এমডিজি অর্জনে অভূতপূর্ব সাফল্য বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। সর্বক্ষেত্রে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় দেশ আজ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করবে। দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ২০১৬-২০২০ সালের মধ্যে সাফল্যজনকভাবে ৭.১ শতাংশ হতে ৮ শতাংশ এবং গড় প্রবৃদ্ধি ৭.৪ শতাংশ প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বাজেটের আকার বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬১ হাজার ৫৭ কোটি টাকা, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকায়। দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সরকার সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। বিনিয়োগের ৮০ শতাংশ বেসরকারি ও ২০ শতাংশ সরকারি খাতে হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর উন্নয়নবান্ধব ও দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এতে দারিদ্র্য দিন দিন কমে আসছে। এডিপি বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রয়াস নেয়া হয়েছে। সারা দেশে সড়ক নেটওয়ার্কের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। গ্রাম-উপজেলা-জেলাসহ সব ক্ষেত্রে সড়ক অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি হওয়ায় এর সুফল পাচ্ছে জনগণ। এখন গ্রামের সাধারণ কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য খুব সহজে বিক্রয় কেন্দ্রে আনতে পারছে। এসব কারণে বাংলাদেশে অতি দারিদ্র্য অনেকটাই কমে আসছে। মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নেও এসব কর্মসূচি ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের অসামান্য অবদান এবং দারিদ্র্য হ্রাসে তাঁর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন (আইওএসএসসি) অ্যাওয়ার্ড এ ভূষিত হয়েছেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied